অক্ষয়তৃতীয়ার দিনেই দ্বারোদ্ঘাটন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। বুধবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব দিঘায়। ইতিমধ্যেই জগন্নাথের দুই বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছে। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে রাধাকৃষ্ণের মূর্তিতেও। এর পর বেলা ৩টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হবে।
বুধবার সকাল ১১টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে নিমকাঠের তৈরি জগন্নাথের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়। ওই সময়ই ছিল প্রাণপ্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণ। ওই ২০ মিনিটের মধ্যে রুদ্ধ দরজার ভিতরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতেরা প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। দেবতার সর্বাঙ্গে কুশ স্পর্শ করানো হয়। এর পর বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পাথরের জগন্নাথেও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন ইসকনের সেবায়েতরা। একই সঙ্গে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয় রাধাকৃষ্ণের পাথরের মূর্তিতেও। এর পর জগন্নাথের স্নান এবং বস্ত্র পরিধানের প্রক্রিয়া চলবে। তার পরে ৫৬ ভোগ অর্পণ করা হবে জগন্নাথের উদ্দেশে। সেখানে নানা পদের সঙ্গে থাকবে গজা, পেঁড়া, রসগোল্লার মতো মিষ্টিও। এর পরে রয়েছে দ্বারোদ্ঘাটন পর্ব। ‘অক্ষয়তৃতীয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ’ দুপুর ৩টে থেকে ৩টে ১০ মিনিট। ওই সময়েই মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জগন্নাথের উদ্দেশে প্রথম সন্ধ্যারতিও করবেন তিনিই।
জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের এই সৈকতশহর সেজে উঠেছে। গোটা শহরকে রঙিন আলোয় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সমুদ্রসৈকতে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী মণ্ডপ বেঁধে এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে গোটা প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রচার চলছে।