দিঘার জগন্নাথ মন্দির দেখে মুগ্ধ দিলীপ, পুজো দিয়ে মমতার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ
প্রতিদিন | ০১ মে ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিঘার জগন্নাথদেবের দর্শনের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ দিলীপ ঘোষের। মন্দির লাগোয়া অতিথি নিবাসে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যান। সেখানেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। জগন্নাথ মন্দির দেখে অভিভূত বলেই ‘দিদি’কে জানান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন নিয়ে প্রস্তুতি বহুদিনের। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। মন্দির চত্বরে নবদম্পতিকে অভ্যর্থনা জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কুণাল ঘোষ। চার নম্বর গেট দিয়ে মন্দিরে ঢোকেন দিলীপ ও রিঙ্কু। পুজো দিয়ে গোটা মন্দির ঘুরে দেখেন তাঁরা।
এরপর তাঁদের গন্তব্য মন্দির লাগোয়া অতিথি নিবাস। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় দিলীপ ঘোষের। খোশমেজাজে গল্প হয় তাঁদের। মন্দিরের খুঁটিনাটি থেকে তীব্র গরমের মাঝে বৃষ্টি ? সব কিছু নিয়ে কথাবার্তা হয় মমতা ও দিলীপের।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে জগন্নাথ মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়ার শ্যামপুরের একটি অনুষ্ঠান সেরে সময় থাকলে শ্রীক্ষেত্র দিঘায় যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন দিলীপ। সস্ত্রীক দিলীপ জগন্নাথদেব দর্শনে গেলেনও। তাঁর দেবদর্শন নিয়ে গেরুয়া শিবিরে তীব্র মতানৈক্য। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি সুকান্ত, শুভেন্দুরা। দিলীপকে রীতিমতো খোঁচা দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন দিলীপ ঘোষ। সল্টলেকের বাড়িতে আইনি এবং বৈদিক মতে বিয়ে সারেন তাঁরা। সম্পূর্ণ ঘনিষ্ঠ বৃত্তে চারহাত এক হয় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির। দলীয় নেতার বিয়ের দিনেও বিজেপির ‘আদি-নব্য’ দ্বন্দ্ব নজরে আসে সকলের। দলীয় মতবিরোধ থাকলেও সেদিন দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন অবশ্য় সাক্ষাৎ হয়নি তাঁদের। বিয়ের পর এই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল দিলীপের।