• ISC-র মেধাতালিকায় উজ্জ্বল জেলার একঝাঁক পড়ুয়া, কারও পছন্দ ইতিহাস, কেউ হতে চান IAS
    প্রতিদিন | ০১ মে ২০২৫
  • অর্ণব দাস: আইএসসি-র মেধাতালিকায় উজ্জ্বল উত্তর ২৪ পরগনা। মধ্যমগ্রাম ও সোদপুরের চার পড়ুয়ার নাম মেধাতালিকার শীর্ষে। বুধবার আইএসসি-র ফলপ্রকাশের পর নিজের বিধানসভা এলাকার সফল দুই ছাত্রছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মধ্যমগ্রামের জুলিয়ান ডে হাই স্কুল, বারাকপুরের মডার্ন স্কুল এবং সোদপুরের সেন্ট জেভিয়ার্স ? এই তিন স্কুলের পড়ুয়াদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্কুল কর্তৃপক্ষও।

    মধ্যমগ্রামের দেবদাসপল্লি এলাকার বাসিন্দা অনীশ কুশারী মধ্যমগ্রামের জুলিয়ান ডে হাই স্কুলের ছাত্র। আইএসসি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৭৫ শতাংশ। ছেলের এই সাফল্যে খুশি বাবা অভিজিৎ কুশারী এবং মা নিবেদিতা। এত ভালো ফলাফলেও অনীশ কিন্তু বিজ্ঞানে আগ্রহী নয়। আগামী দিনে সে ইতিহাস নিয়ে পড়তে চায়। অনীশের কথায়, “ইতিহাস আমার বরাবরের পছন্দের বিষয়। অজানা অনেক কিছু আমি জানতে আগ্রহী। তাই ইতিহাস নিয়ে পড়তে চাই।”

    বীরেশপল্লি এলাকায় থাকে জয়দীপ্তা নন্দী। সেও মধ্যমগ্রামের জুলিয়ান ডে স্কুল থেকেই আইএসসি পরীক্ষায় ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। নিট পরীক্ষাতেও ভালো ফলাফল হবে বলেই আশাবাদী মেধাবী ছাত্রী। বারাকপুরের মর্ডান ইংলিশ অ্যাকাডেমি থেকে এবছর আইএসসি পরীক্ষায় ৯৯.৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে আগরপাড়ার সৌজাশদীপ্তা দাস। সেও অনীশের মতো আগামী দিনে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে চায়। অন্যদিকে, সোদপুরের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকেই আইসিএসসি পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছেন আদিত্য তিওয়ারি। পাঁচশোর মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯। আগামী দিনে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হতে আগ্রহী আদিত্য।

    এদিন এলাকার দুই কৃতী পড়ুয়া অনীশ এবং জয়দীপ্তার বাড়িতে গিয়ে ফুল, মিষ্টি ও ঘড়ি উপহার দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা মন্ত্রী রথীন ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ। রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, “মধ্যমগ্রামের দু’জন সফল ছাত্রছাত্রীর জন্য আমরা গর্বিত। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি ওরা ভালো মানুষ হোক, সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করুক, এটাই চাইব।”

    মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছাপত্রও তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক সৈকত মাজি। সোদপুর সুখচর এলাকায় বাসিন্দা সোদপুর সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র কার্তিক দাসও আইএসসি পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৭৫ শতাংশ। আগামীতে আইআইটি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান মেধাবী এই ছাত্র। কার্তিকের কথায়, “জয়েন্ট মেন পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হয়েছে। জয়েন্ট অ্যাডভান্স পরীক্ষাতেও ভালো ফল হবে বলে আশা করছি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)