কাটল দীর্ঘ জট, হাওড়া পুরসভা-সহ দুই গুরুত্বপূর্ণ বিলে সই রাজ্যপালের
প্রতিদিন | ০১ মে ২০২৫
সুদীপ রায়চৌধুরী: অবশেষে দীর্ঘদিনের জট কাটল। ঝুলে থাকা দুই গুরুত্বপূর্ণ বিলে সই করে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১ এবং পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কমিশন (সংশোধনী) বিল, ২০১৮-এ স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর। এছাড়া আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিন। পশ্চিমবঙ্গ তথ্য কমিশনের তথ্য কমিশনার অর্থাৎ বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক হিসেবে শ্রীমতী সঞ্চিতা কুমার এবং ডঃ মৃগাঙ্ক মাহাতোকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। সঞ্চিতা কুমার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের স্ত্রী এবং মৃগাঙ্ক মাহাতো পুরুলিয়ার প্রাক্তন সাংসদ।
রাজভবন সূত্রে খবর, দু’দিন অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার মিলে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিলে সই করেছেন সিভি আনন্দ বোস, যার মধ্যে অন্যতম হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত সংশোধনী বিল। এই বিলটি ২০২১ সাল থেকে রাজ্যপালের সইয়ের অপেক্ষায় রাজভবনেই আটকে ছিল। তাই হাওড়া পুরসভায় এতদিন নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে বারবার রাজ্যপালকে বিলটিতে সম্মতির অনুরোধ জানালেও, নানা কারণে তা হয়নি। রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনকড়ও এই বিলে সই করেননি। এবার অনেকদিন পর সেই জট খুলল। ফলে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনে আর বাধা রইল না।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কমিশন তৈরি সংক্রান্ত বিলটিতেও রাজ্যপাল সই করে দিয়েছেন।এছাড়া শিক্ষা ও প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাব, যা দীর্ঘদিন ধরে রাজভবনে আটকে ছিল, তাও এবার সই হয়েছে। তবে এখনও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজভবনে আটকে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে অভয়ার ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের পর এ ধরনের অপরাধ রুখতে বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘অপরাজিতা বিল’। সরকারের তরফে বারবার এই বিলটি দ্রুত সইয়ের জন্য রাজভবনে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি সিভি আনন্দ বোস এই পাঁচ বিলে সই করে দেওয়ায় ওয়াকিবহাল মহলের মত, রাজভবন-নবান্নের মধ্যে যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা কাটল।