পহেলগাঁওয়ের জের! ভাঙা মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার কর্মসূচিতে ধুলিয়ান যেতে পারলেন না সুকান্ত
আনন্দবাজার | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
কথা থাকলেও অক্ষয়তৃতীয়ায় ধুলিয়ানের ভাঙা মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া হল না রাজ্যের বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের। বাদ সাধল পহেলগাঁও কাণ্ড। দিল্লিতে সরকারি কর্মসূচি সেরে মঙ্গলবার রাজ্যে ফিরে ধুলিয়ানের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল সুকান্তের। কিন্তু পহেলগাঁও কাণ্ডের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মসূচিতে রদবদল হয়। তার ফলে বুধবার বিকেল ৪টেয় কলকাতায় পৌঁছন তিনি। তার পরে আর ধুলিয়ানে যাওয়া হয়নি। বড়বাজারের মেছুয়ার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের কারণে দিনের বাকি অংশে তাঁর সফরসূচিও পরিবর্তিত হয়।
দিল্লি থেকে মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা ফিরে আসার কথা ছিল সুকান্তের। ওই রাতেই ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে নিউ ফরাক্কা স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। বুধবার ভোরে নিউ ফরাক্কায় নেমে সরকারি অতিথি নিবাসে উঠে সকাল ৯টা নাগাদ ধুলিয়ানে ভাঙা মন্দির পুনপ্রতিষ্ঠার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর থেকে দফায় দফায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তেমনই এক বৈঠকে বুধবার ডাক পড়ে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের। এ দিকে বিভিন্ন রাজ্য সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে আয়োজিত সরকারি কর্মসূচির উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ধর্মেন্দ্রের। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকের কারণে ধর্মেন্দ্র ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি। সেই দায়িত্ব পড়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্তের কাঁধে। উপাচার্যদের নিয়ে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে সুকান্তেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে সমাপ্তি পর্বে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধর্মেন্দ্র সেই বৈঠকে যোগ দিতে না পারায় স্থির হয়, সুকান্তই বুধবার উপাচার্যদের নিয়ে আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধনী পর্ব সামলাবেন। ফলে মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লি থেকে আর তাঁর কলকাতা ফেরা হয়নি। বুধবার ৪টে নাগাদ কলকাতা ফিরে সুকান্ত বড়বাজারের মেছুয়ায় যান। শেষ পর্যন্ত ধুলিয়ানে আর যাওয়া হয়নি তাঁর।
বুধবার, অক্ষয়তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ভেঙে প়ড়া কিছু মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুকান্তের। গত ২১ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের অশান্তি কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ধুলিয়ান তথা শমসেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা তিনি ঘুরে দেখেন। অশান্তির সময়ে বেশ কিছু মন্দির ‘আক্রান্ত’ হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সে সব ঘুরে দেখার পরে সুকান্ত তখন জানিয়েছিলেন, ওই সব মন্দির মেরামতির পরে নতুন করে উদ্বোধনের ব্যবস্থা দ্রুত করা হবে। সময় পেলে তাতে তিনি উপস্থিত থাকবেন। বুধবার ধুলিয়ানের বেশ কিছু মন্দিরে হোমযজ্ঞ চলে। সেগুলি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে ধুলিয়ানে যাওয়া হল না সুকান্তের।