• ওরা শুধু টপারই নয়, কেউ ব্যাডমিন্টনের কোর্টে তুখড়, কেউ মাউথ অর্গানে অনবদ্য
    এই সময় | ০১ মে ২০২৫
  • বুধবার প্রকাশিত ICSE পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের। সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে দু’জন, পঞ্চম স্থানে একজন। স্কুলের প্রিন্সিপাল চন্দা মজুমদার জানান, ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে ICSE-র সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে আদৃতা মাহাতো ও সৃজিতা মণ্ডল। ৪৯৬ পেয়ে পঞ্চম স্থানে প্রবাহনীল দাস।

    স্কুলের পড়ুয়াদের এই সাফল্যে দারুণ খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রিন্সিপাল চন্দা মজুমদার জানান, তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা শুধু লেখাপড়ায় নয়, সব দিকেই পারদর্শী। কেউ ছবি আঁকতে ভালোবাসে, কারও আবার নাচ-গানের ঝোঁক। কেউ মাউথ অর্গানে তুখড়। প্রিন্সিপালের কথায়, ‘ওরা অলরাউন্ডার’।

    মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনের আবাসনে থাকে আদৃতা। সে খুব ভালো ছবি আঁকে। গবেষণা করতে চায় সে। শহরের বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা সৃজিতাও চায় গবেষণা করতে। ভালোবাসে নাচ, গান আর ব্যাডমিন্টন। সৃজিতার বাবা-মা দু’জনই হাইস্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক।

    সৃজিতা জানায়, ঘড়ি ধরে পড়াশোনা সে করেনি। তবে যখনই মনে হয়েছে পড়তে বসবে, বইখাতা নিয়ে বসে পড়েছে। পরীক্ষা ভালোই হয়েছিল। মা, বাবা তো আছেনই, একই সঙ্গে স্কুলও যে সব সময় সব রকম ভাবে পাশে থেকেছে, বলতে ভোলেনি আদৃতা-সৃজিতারা।

    সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থানাধিকারী প্রবাহনীল-কে নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্কুলের প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাঁরা জানান, প্রবাহনীল শুধু লেখাপড়াতেই নয়, সবেতেই চ্যাম্পিয়ন। মঞ্চ সঞ্চালনা থেকে মাউথ অর্গান, সিন্থেসাইজার বাজানো- সবেতেই পারদর্শী ও।

    প্রবাহনীলের কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। তার কথায়, ‘স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যেই এই সাফল্য। যে ভাবে স্যর-ম্যাডামরা বলেছেন, সে ভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আর তাতেই এই সাফল্য।’ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় প্রবাহনীল। বাবা পার্থসারথি দাস বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, মা মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় কেশপুর গার্লস হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা। তাঁরা জানান, পড়াশোনার জন্য ছেলেকে কখনও চাপ দেননি। প্রবাহনীল ভালোবেসেই পড়াশোনা করত। স্কুল যে ভাবে পাশে থেকেছে, সেই অবদান ভোলার নয়।

  • Link to this news (এই সময়)