নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: তখন দুপুর দুটো। প্রখর রোদ। সারি সারি আমগাছের ছায়ায় অবশ্য খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছিল। সবুজ গালিচায় মোড়া চারিপাশ। তার ওপর চেয়ারে বসা হাজার হাজার ভক্ত তাকিয়ে রয়েছেন এলইডি স্ক্রিনে। দীঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন নতুন জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতে প্রস্তুত হচ্ছেন। এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যে দৃশ্য দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হতেই চারিদিক ফেটে পড়ল ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে। সৃষ্টি হল এক ইতিহাস। যার সাক্ষী থাকলেন মালদহ জেলার ইংলিশবাজার ব্লকের যদুপুর অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ। আর এই বিশাল আয়োজন করেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা ঘোষ বর্মন ও বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রসূন ঘোষ। সভাধিপতি বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মুখ্যমন্ত্রী দীঘায় নতুন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করলেন। সেই উপলক্ষে মালদহ জুড়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমরা যদুপুরে জহুরাতলা মন্দির চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম।
যদুপুর -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ এদিন জহুরাতলা মন্দির চত্বরে উপস্থিত হন। আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও বেশকিছু মানুষ এখানে আসেন। এদিন তাঁরা প্রত্যেকেই বড় স্ক্রিনে দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান দেখে এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলেন। কয়েক হাজার মানুষের জন্য সবরকম ব্যবস্থাই রাখা ছিল এদিন। সভাধিপতির কথায়, আমরা এখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করেছি। এখানে যজ্ঞও করা হয়।
একই সঙ্গে বিশালাকার স্ক্রিনের মাধ্যমে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করে মানুষকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতেই এখানে উপস্থিত প্রত্যেকের হাতে প্রসাদ হিসেবে তুলে দেওয়া হয় গজা। এরপর ভক্তদের খাওয়ানো হয় খিচুড়ি। - নিজস্ব চিত্র