গুরগুরিয়া নদীর উপর তৈরি হবে পাকা সেতু, ১০০ বছর ধরে ঝুঁকির পারাপারে ইতি ঘটবে
বর্তমান | ০১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: অবশেষে কাঁচা সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকির পারাপারের দিন শেষ হতে চলেছে। ১০০ বছরের পুরনো ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতু পাকা করা হচ্ছে। যার ফলে নাকাশিপাড়া ব্লকের মুড়াগাছা এবং কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের সাধনপাড়ার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো হবে। উপকৃত হতে চলেছেন দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। কারণ, সেচদপ্তরের তরফ থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে গুরগুরিয়া নদীর উপর পাকা সেতু বানানো হচ্ছে। সম্প্রতি সেই কাজের শিলান্যাস করেছেন নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ। বিধায়কের প্রস্তাব ও উদ্যোগেই সেই কাজ এবার বাস্তবায়ন হচ্ছে।
বিধায়ক বলেন, মুড়াগাছার কাঠের ব্রিজটিকে পাকা করার দাবি এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের। এই ব্রিজের উপর দিয়ে আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ যাতায়াত করে। তাই বছর দুই আগে এখানে পাকা সেতু বানানোর প্রস্তাব দিই। সেইমতো সেচদপ্তরের তরফ থেকে এই ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সেই কাজ শেষ হবে।
নাকাশিপাড়া ব্লকের মুড়াগাছা পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গুরগুরিয়া নদী। যদিও বর্তমানে তা খালে পরিণত হয়েছে। তার উপরেই রয়েছে ১০০ বছরের পুরনো শাল কাঠ দিয়ে বানানো সেতু। যদিও তার অবস্থা বর্তমানে একেবারেই ভালো নয়। ব্রিজের ধারের একাংশ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। ব্রিজের উপর দিয়ে চারচাকা গাড়ি যেতে পারে না। এমনকী, হাঁটাচলা করাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে কাঠের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করেন গ্রামবাসীরা। অথচ, এই ব্রিজটি মুড়াগাছার আশেপাশের গ্রামের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের সাধানপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। সাধনপাড়া পঞ্চায়েতের রাখালগাছি, বামুনপাড়া এলাকার মানুষ এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর কথায়, এই ব্রিজ না থাকলে এক-দুই কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে। ১০০ বছর ধরে এই কাঠের ব্রিজের উপর দিয়েই মানুষ যাতায়াত করে আসছে। সম্প্রতি ব্রিজের ভগ্নপ্রায় দশার কারণে তা পাকা করার দাবি জানান এলাকাবাসীরা। সেইমতো নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ সেই ব্রিজ পাকা করার উদ্যোগ নেন। সেচদপ্তরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে নদীর উপর কাঁচা ব্রিজটি পাকা করা হয়। তাতেই সম্প্রতি অনুমোদন আসে।
সেচদপ্তরের আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস বলেন, কাঠের ব্রিজটির জায়গায় পাকা সেতু বানানো হচ্ছে। ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে। সেইমতো সময়সীমা নেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র