গত অর্থবর্ষে ১৫ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্টে রূপশ্রীর অর্থ জেলায়
বর্তমান | ০১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: গত অর্থবছরে নদীয়া জেলার ১৫ হাজারের বেশি মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। যার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকায় ইতিমধ্যেই নববধূদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পৌঁছে গিয়েছে। আবেদনকারীর সমস্ত নথিপত্র যাচাই করে তবেই সেই টাকা পাঠানো হয়েছে। তার জন্য বিয়ের দিন নববধূর বাড়িতে গিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ নববধূকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে পারায় খুশি প্রশাসনের আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, আবেদনপত্র জমা পড়লেই আমরা দ্রুত তা খতিয়ে দেখি। যে সমস্ত ক্ষেত্রে আবেদন বিয়ের কয়েকদিনআগে হয়েছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্র অনেক সময় গ্রহণ করা হয়নি। সমস্ত নথি ঠিক থাকলে তবে আবেদনকারীর ব্যাঙ্কঅ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১৫ হাজার ৫৬২ জন নববধূকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য খরচ হয়েছে ৩৮ কোটি ৯০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। যার মধ্যে শুধু চাপড়া ব্লকের ১৫১৪ জন্য রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। কালীগঞ্জ ব্লকের ১২০৮, করিমপুর-২ ব্লকের ৬৭৯, কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের ৮৩৩, কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে ৮৩২, নাকাশিপাড়া ব্লকে ১৪৫১, হরিণঘাটা ব্লকে ৪৫০ এবং কল্যাণী ব্লকের ৩০১ জন রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা ছাড়া নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। কারণ নদীয়া জেলায় অতীতে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতানোর বিষয়টি সমানে আসে। তাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ভুয়ো নথি দিয়ে টাকা হাতানো হয়েছিল সরকারি এই প্রকল্পের। তাই রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন অনুমোদন করার আগে সবদিক ভালো করে খতিয়ে দেখে নেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এক আধিকারিকের কথায়, এআই পদ্ধতি অবলম্বন করে অতীতে সরকারি এই প্রকল্পের টাকা হাতানোর বিষয়টি দেখা হয়। নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা সবচেয়ে বেশি নয়ছয় করা হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ তা করা হয়। সেইমতো যাঁরা একাধিকবার টাকা নিয়েছিলেন, তা ফেরত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নতুন নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের দিন পেরিয়ে গেলে আবেদনকারীর তথ্য আপলোড করা যায়না। তাই আবেদন জমা পড়লেই আধিকারিকদের দ্রুত তা পরীক্ষা করতে হয়।