• রামপুরহাটে পাথর ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ধৃত ৪
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রামপুরহাটে পাথর ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করল রামপুরহাট থানার পুলিস। মঙ্গলবার রাতে শালবাদরা থেকে ওই চারজনকে ধরা হয়। পুলিস জানিয়েছে ধৃতরা হল, অলড্রেন বাক্সি, রাজেন টুডু ওরফে মন্টু, অক্ষয় মিরধা, অমিত টুডু ওরফে গেনা। সকলেই সুলঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। মৃত পাথর ব্যবসায়ী সুদীপ বাস্কিও ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। সহকারী সরকারি আইনজীবী আলি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আদালত ধৃতদের ১০ দিনের পুলিসি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত চলছে। 

    গত রবিবার রামপুরহাটের নিরিষা গ্রামের পেট্রল পাম্প লাগোয়া একটি চায়ের দোকানে হানা দেয় সশ্রস্ত্র দুষ্কৃতী দল। সেখানে কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ী হপ্তার পেমেন্ট করছিলেন। দুষ্কৃতীরা মুহুর্মুহ গুলি চালিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। গুলি লেগে মৃত্যু হয় সুদীপ বাস্কি নামে এক পাথর ব্যবসায়ীর। সুদীপের বাড়ি ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া রামপুরহাটের সুলঙ্গা গ্রামে। প্রাথমিক পুলিসি তদন্তে ছিনতাইয়ের তত্ত্ব উঠে এলেও পুলিস কর্তাদের একাংশ অনুমান করছিলেন এই খুনের নেপথ্যে অন্য কারণ থাকতে পারে। চারজনের গ্রেপ্তারির পর পুলিসের সেই তত্ত্বেই বোধহয় সিলমোহর পড়তে চলেছে। যদিও এখনই অবশ্য পুলিস কর্তারা এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তবে, ইতিমধ্যে মৃতের পরিবারের তরফেও হুমকি পাওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। অন্যদিকে, এই ঘটনায় সন্দেহের ভিত্তিতে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চারজন পাথর ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রী। যদিও প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তরা অবশ্য এখনও পলাতক। পুলিস তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিস কর্তাদের দাবি, ধৃতদের জেরা করেই এই ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের হদিশ মিলবে। সেইসঙ্গে খুনের আসল কারণও স্পষ্ট হবে। জেলার পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    প্রাথমিকভাবে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাথর শিল্পাঞ্চলে দাদাগিরির জেরে সুদীপ বাস্কি একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে ওই গোষ্ঠী হুমকি দিয়েছিল সুদীপকে। সে কথা সুদীপের পরিবারও জানত এবং তাঁরা পুলিসকে সে কথা জানিয়েছিলেন। ফলে প্রাথমিকভাবে এই তত্ত্বও জোবালো হচ্ছে যে, হয়তো সেদিন সুদীপই ছিলেন দুষ্কৃতীদের মূল টার্গেট। পুরনো শত্রুতার জেরেই ওই দিন সুদীপের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল। তবে তদন্ত এখনও চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে পুলিস সরকারি ভাবে কিছু বলতে নারাজ।
  • Link to this news (বর্তমান)