• জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ঘিরে বীরভূম জেলাজুড়ে উন্মাদনা
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা, বীরভূম: বুধবার দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে বীরভূমের অগণিত সাধারণ মানুষ মুখিয়ে ছিলেন।  জেলা প্রশাসনের তরফে প্রতিটি ব্লক ও পুরসভা এলাকায় জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দীঘায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার করা হয়। পাশাপাশি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। জেলার সিউড়ি, বোলপুরের পাশাপাশি রামপুরহাটেও ছিল নজরকাড়া আয়োজন। রামপুরহাট ব্লক-২ তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সেবাইতদের একাংশের সহযোগিতায় তারাপীঠ মন্দির লাগোয়া কর্মতীর্থে বসানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। সেইসঙ্গে পুজোর আয়োজন হয়েছিল। চলে প্রসাদ বিলিও। সেখানে সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। মন্দিরের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেওয়ার আগেই এদিন তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন সাংসদ। তিনি বলেন, মন্দির সৃষ্টি মানে, ইতিহাস সৃষ্টি। এই মন্দিরের টানে এবার দীঘায় আরও বেশি মানুষের সমাগম হবে।

    জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, সারা জেলাজুড়ে এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মাধ্যমেই পুণ্যার্থীরা মন্দির দর্শন করেছেন, শুভ মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন। এছাড়াও অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নে জেলাজুড়ে পুজো ও নাম সংকীর্তন চলছে। মাঙ্গলিক আবহে আমরা শুভ মুহূর্তের সাক্ষী থাকলাম। সিউড়িতে রবীন্দ্র সদনে জেলা প্রশাসনের তরফে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিস সুপার আমনদীপ সহ অন্যান্যরা রবীন্দ্র সদনে বসেই এদিন মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকলেন। সেইসঙ্গে সিউড়ি পুরসভার তরফে চৈতালি মোড়ে ৫৬ ভোগ সহকারে জগন্নাথ দেবের পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সহ পথচারীদের মধ্যে গজা ও লাড্ডু বিলি করা হয়। পাশাপাশি উদ্বোধনী মুহূর্ত তুলে ধরতে জায়ান্ট স্ক্রিনও বসানো হয়েছিল। সেখানে বসেই পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেন। সিউড়ির পাশাপাশি জেলার প্রতিটি পুরসভা সহ গ্রামীণ এলাকায় প্রশাসন ও শাসকদলের তরফে পৃথকভাবে জমকালো আয়োজন করা হয়েছিল। দিনভর নাম সংকীর্তন সহ পুজোও চলে। পরবর্তীতে একাধিক জায়গায় এদিন পুণ্যার্থীদের মধ্যে প্রসাদও বিলি করা হয়।

    বোলপুর, লাভপুর ও কীর্ণাহারেও জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে উদ্বোধনী মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। বোলপুরের নিচুপট্টির মহাপ্রভু মন্দিরে ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার তত্ত্বাবধানে তৃণমূল নেতৃত্ব রেল ময়দানে জাঁকজমক ব্যবস্থার আয়োজন করে। দু’টি জায়গাতেই উপস্থিত হন এসআরডিএএর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ভক্তদের ভোগ বিলি করা হয়। অনুষ্ঠানের ফাঁকে অনুব্রত বলেন, ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইলাম। প্রভু জগন্নাথের কাছে চাইব বীরভূম, রাজ্য তথা সারা বিশ্বে যেন শান্তিতে থাকে। হানাহানি না হয়। লাভপুরের সতীপীঠ ফুল্লরাতলাতেও জাঁকজমকপূর্ণ পুজো আরাধনা ও সংকীর্তন হয়। বিধায়ক অভিজিৎ সিংহের উদ্যোগে সেখানে নগর সংকীর্তনের পাশাপাশি আগত ভক্তদের খিচুড়ি প্রসাদেরও আয়োজন করা হয়। বিধায়ক নিজেও খিচুড়ি প্রসাদ বিলিতে অংশ নেন। ব্লকের ১০টি জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী মুহূর্ত দেখানো হয়।  বোলপুরের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডল। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)