সাইবার প্রতারণার ঘটনায় এবার উদ্ধার করা হবে আরও দেড় কোটি
বর্তমান | ০১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট কিংবা, টেলিগ্রাম গ্রুপের ওয়ার্ক ফ্রম হোম। ডিজিটাল অ্যারেস্ট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড! প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে বিধাননগরের বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। তদন্তে নেমে গত মার্চ মাসে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করে প্রতারিতদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও বেশ কয়েকটি প্রতারণার কিনারা হয়েছে। সেগুলি থেকে আরও প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের মুখে। টাকা উদ্ধার হলেই ফের তা প্রতারিতদের হাতে ফেরানো হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়ে থেকে প্রবীণ, সকলেই সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। পুলিসের দাবি, সংখ্যার দিক থেকে প্রবীণ নাগরিকরাই বেশি প্রতারিত হচ্ছেন। কারণ, প্রতারকরা ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি, পুলিস, ক্রাইম ব্রাঞ্চ-এর লোক বলে ফোন করে। বহু প্রবীণ নাগরিক প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট করানোর নামে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা টেলিগ্রাম গ্রুপে বিনিয়োগ, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের টোপে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ফাঁদে পা দিচ্ছেন সব বয়সি লোকজন।
পুলিসের বক্তব্য, ফোনে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। ফোনে অপরিচিতদের কথায় কোনও ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করা চলবে না। ডিজিটাল অ্যারেস্ট প্রতারকদের ফাঁদ। বাস্তবে অস্তিত্ব নেই। টেলিগ্রাম গ্রুপে বিনিয়োগ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত কেন্দ্রীয় পোর্টালে অভিযোগ নথিভুক্ত করে থানায় যান। দ্রুত অভিযোগ করলে টাকা ফেরত পেতে সুবিধা হয়। কারণ, একটু সময় পেলে প্রতারকরা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেটে টাকা স্থানান্তর করে দেয়। গত ১০ মার্চ বিধাননগর কমিশনারেট সাইবার প্রতারণার ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ৩০ জন প্রতারিতকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আরও দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের মুখে। বহু অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। সেখান থেকে টাকা উদ্ধার হলেই প্রতারিতদের হাতে ফেরানো হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।