নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: গত বছর বারাকপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। পুরসভার পক্ষ থেকে সমীক্ষায় দেখা যায়, শ’দুয়েক ফাঁকা প্লট রয়েছে বারাকপুর শহরে। পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওইসব ফাঁকা জমিতে যাতে কেউ আবর্জনা বা জঞ্জাল না ফেলেন, সেই আবেদন জানিয়ে ব্যানার টাঙানো হবে। তাতে বলা হবে, জমিতে আবর্জনা বা জঞ্জাল ফেললে জরিমানা করা হবে। সেই অনুসারে পুরসভার পক্ষ থেকে সব ফাঁকা জমিতে ব্যানার টাঙানো হল। সেখানে বলা হয়েছে, যদি কেউ ফাঁকা জমিতে জঞ্জাল ফেলেন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে ‘স্পট ফাইন’ হিসেবে নেওয়া হবে ১০০ টাকা। ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সিদ্ধান্ত।
পুরসভার আরও সিদ্ধান্ত, ফাঁকা জমিতে জঙ্গল হয়ে থাকলে তা জমির মালিককে পরিষ্কার করতে হবে। পুরসভার পক্ষ থেকে জমির মালিকদের এজন্য নোটিস পাঠানো হচ্ছে। পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে বারাকপুরে ডেঙ্গু কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনটি ওয়ার্ডে কোন ডেঙ্গু না হওয়ায় সেখানকার সাফাইকর্মীদের পুরসভার পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। এরপর কোনও ওয়ার্ডেই যাতে ডেঙ্গু না হয়, তার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, ফাঁকা জমিতে জঞ্জাল বা আবর্জনা না ফেলা।
এ ব্যাপারে বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, বছরখানেক আগে এখানে ডেঙ্গু খুব বেড়েছিল। বর্তমানে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুরো ডেঙ্গু মুক্ত শহর করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাই কর্মীরা পরিশ্রম করছেন। এজন্য কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ফাঁকা জমিকে জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে জঞ্জাল বা আবর্জনা থাকলে মশার জন্ম হতে পারে। তাই ফাঁকা জমিতে জঞ্জাল না ফেলার আবেদন জানিয়ে ব্যানার লাগানো হয়েছে। জরিমানা করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। নিজস্ব চিত্র