নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা : সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। বেলা বাড়তেই শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়। যার জেরে কলকাতা ও শহরতলীর জনজীবন বিঘ্নিত হয়। তবে একধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। হাওড়ার বি গার্ডেনের তিন নম্বর ঘাট এলাকায় আচমকা ঝড় ও বৃষ্টির জেরে পুরনো মেহগনি গাছ ভেঙে সংলগ্ন বস্তি এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্তত পাঁচটি বাড়ির টালির চাল ভেঙে গিয়েছে। জখম হয়েছেন তিনজন। তাঁদের দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে পিঙ্কি প্রসাদ ও ইমরান খান নামের দু’জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরেই ওই বস্তি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। হুগলিতেও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। ১১টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। প্রায় একঘণ্টা দেদার বৃষ্টি হয়। শ্রীরামপুর, চন্দননগর সহ একাধিক জায়গায় বৃষ্টির দাপটে কিছু সময়ের জন্য জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তবে কোথাও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে বরানগর, দমদম, পানিহাটি সহ উত্তর শহরতলির বিভিন্ন এলাকা। কিছু জায়গার রাস্তাঘাটে সন্ধ্যা পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ তীব্র ভোগান্তির মুখে পড়েন। দমদম আন্ডারপাস ও পাতিপুকুর আন্ডারপাস জলমগ্ন হওয়ায় নিত্যযাত্রীরা তীব্র ভোগান্তির শিকার হন। পরে পুরসভা মেশিন চালু করে জল নামায়। পানিহাটি ও দমদমের বিভিন্ন নিচু এলাকাতেও একই চিত্র।
দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে বারাসত শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মূলত আদালত ও জেলা পরিষদ চত্বরে হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায়। যাতায়াত করার ক্ষেত্রে ব্যস্ততম এই এলাকায় চূড়ান্ত নাকাল হতে হয় মানুষকে। তাছাড়া ৯, ১০, ২৬ সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের জল দাঁড়িয়ে যায় বারাসতে। একই ঘটনা ঘটে হাবড়া, গোবরডাঙা পুরসভার ক্ষেত্রে। স্টেশন লাগোয়া এলাকায় এদিনও বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বৃষ্টিতে খেতের ধান নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় চাষীদের। দুপুর বারোটা নাগাদ শুরু হয়ে প্রায় ৪০ মিনিট হাল্কা বৃষ্টি চলে বনগাঁয়। আংশিক ব্যাহত হয় জনজীবন।