এই সময়: হালকা মেঘের আস্তরণটার ঘন হয়ে উঠতে সময় লেগেছিল বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু তারপরই যে ভাবে বৃষ্টি শুরু হলো শহরজুড়ে তাতে মনে হচ্ছিল গ্রীষ্ম নয়, এটা ভরা বর্ষার সময়।
মাত্র দেড় ঘণ্টায় কলকাতা ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি পেল বুধবার। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের অনেকটা এলাকা জুড়ে যে মেঘ আকাশ ছেয়ে ফেলেছিল, সেই মেঘ বিস্তৃত হয়েছিল বাংলাদেশ পর্যন্ত। তারই জেরে ২০২৫–এর এপ্রিল ৭৭ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি দিল মহানগরকে। সৌজন্যে বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ক্রমশ বাড়তে থাকা গরম নিয়ে যে আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছিল রাজ্যে, এপ্রিলের শেষ দুই সপ্তাহ তাকে অনেকটাই স্তিমিত করে দিল। মাসের শেষ ১৫ দিন যে ভাবে কলকাতা–সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের উপর কয়েক দফায় শান্তির জলের মতো বৃষ্টির প্রলেপ দিয়েছে, তারই প্রভাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাত্রাছাড়া হতে পারেনি।
আলিপুর হাওয়া অফিসের হিসেব অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিনে মোট চারবার বৃষ্টি হয়েছে শহরে। এর মধ্যে শেষ তিন দিন টানা বৃষ্টির পর মাসের শেষ দিনে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের চেয়ে সাড়ে পাঁচ ডিগ্রিরও বেশি নীচে ছিল।
পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর ট্রপিক্যাল মিটিওরোলজির (আইআইটিএম) তথ্য অনুযায়ী এপ্রিলের কলকাতায় গড় বৃষ্টির পরিমাণ থাকে ৫৫ মিলিমিটার। কিন্তু পর পর কয়েকটা ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়ার জন্য ২০২৫–এর এপ্রিলে ৭৭.৬ মিমি বৃষ্টি পেল মহানগর।
এ বছর বর্ষার চার মাসে স্বাভাবিক বা তার চেয়ে সামান্য বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দেশে। তবে কি এপ্রিল থেকেই তার ইঙ্গিত পাওয়া শুরু হলো? সামনের কয়েক মাসে এই প্রশ্নের জবাব দেবে সময়।