এই সময়, লাটাগুড়ি: চার মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল বন দপ্তরের। গোরুমারায় অফলাইনে বুকিংয়ের সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে কেবলমাত্র অনলাইনেই বনবাংলোর বুকিং চালু রাখল বন দপ্তর। এর ফলে একধাক্কায় বাংলো বুকিংয়ের খরচ ৪০ শতাংশ বেড়ে গেল। এই সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বনকর্তারা অবশ্য অফলাইন বন্ধ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
গোরুমারার আওতাধীন বনবাংলোগুলোর বুকিং আগে অনলাইনের মাধ্যমেই দেওয়া হতো। খাবার বাদ দিয়ে জিএসটি মিলিয়ে ঘরপ্রতি ২২৪০ টাকা খরচ পড়ত। জলদাপাড়ার হলং বনবাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা জোরদার করতে গোরুমারার বনবাংলোগুলো কয়েকমাস বন্ধ রাখা হয়।
এরপর ডিসেম্বর মাসে সেগুলি খুলে গেলে অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইন বুকিং চালু করে বন দপ্তর। ২ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া এই নিয়মে ভাড়া বাবদ ৪০ শতাংশ টাকা কমিয়েও দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় বাড়ছিল এখানে। কিন্তু ২১ এপ্রিল গোরুমারার আওতাধীন পানঝোড়া বনবাংলোটি দীর্ঘ চার বছর পর খুলে দেওয়া হয়।
সেখানকার বুকিং অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইন করা হয়। একইসঙ্গে বাকি বন বাংলোগুলোর বুকিংও শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে রাখা হয়। ভাড়াও ফের ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এইচএসটিডিএমের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘বন দপ্তরের হঠকারী এই সিদ্ধান্ত পর্যটনের উপর প্রভাব ফেলবে। কেন শুধু চার মাসের জন্য বনবাংলোগুলোর ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হলো। কেনই বা ফের আগের ভাড়া কার্যকর হলো, তা বোধগম্য হচ্ছে না।’
গোরুমারা সাউথের রেঞ্জার ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, ‘আগের মতো অনলাইনের মাধ্যমেই বনবাংলোর বুকিং মিলবে।’ তবে একবার ৪০ শতাংশ ভাড়া কমিয়ে দিয়ে ফের নতুন করে কেন আগের ভাড়া কার্যকর করা হলো, তা নিয়ে মন্তব্য করেননি তিনি।