• Iran Hijab Protest: হিজাব আন্দোলন বন্ধ করতে ফের নির্বিচারে গুলি ইরানি গার্ডের, মৃত ২, আহত বহু
    এই সময় | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • তিন সপ্তাহের বেশি সময় অতিক্রান্ত। কিন্তু কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলন। ফের উঠল গুলি চলার অভিযোগ। তাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। এছাড়াও অনেকে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিক্ষোভ চলাকালীন নির্বিচারে গুলি চালায় ইরানি সেনা। ইরানের সানন্দাজ এবং সাক্কজে এই গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রসঙ্গত, হিজাব বিরোধী আন্দোলন এর আগেও ইরানি সেনার বিরুদ্ধে গুলি চালানো অভিযোগ উঠেছিল। গত তিন সপ্তাহে গুলিতে ৯০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ স্বীকার করেনি ইরানের সরকার।

    পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলি সূত্রে খবর, সাক্কেজের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গত কয়েকদিন যাবৎ হিজাব বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল করেছিল পড়ুয়ারা। আচমকাই সেখানে ইরানি গার্ডরা গুলি চালাতে শুরু করে। ফলে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গায়ের জোরে আন্দোলন বন্ধ করতে চাইছে সরকার। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বক্তব্য, “বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের পড়ুয়াদের সামনে এনে দেশের শত্রুরা তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে চাইছেন। কিন্তু আমাদের পড়ুয়ারা জেগে উঠছেন। ফলে শত্রুদের সেই আকাঙ্খা কখনই পূর্ণ হবে না।”

    চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মাসা আমিনি নামে বছর ২২-র এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে হিজাব ইস্যুতে ইরানে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। হিজাব না পরায় ‘নীতি পুলিশি’র জেরে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে ইরানে ফরেন্সিক দফতর জানিয়েছে, মারধর বা মাথায় আঘাত নয় শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে মাসা আমিনির। তাঁদের দাবি, মস্তিষ্কে টিউমার থাকায় মাত্র আট বছর বয়সে জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছিল মাসার। সুস্থ হয়ে উঠলেও সেই অসুস্থতা ফের ফিরে আসছিল বলে দাবি করেছে ইরানের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ মাসার পরিবার। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর মারেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনাকে এখন চাপা দিতে চাইছে ইরানের সরকার।

    অন্যদিকে ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন নয়ডার বাসিন্দা এক মহিলা চিকিৎসক। প্রকাশ্য চুল কেটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনুপমা ভরদ্বাজ নামের ওই মহিলা। এর আগে তুর্কির সংগীতশিল্পী মেলেক মোসো মঞ্চেই চুল কেটে ইরানের হিজাব আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
  • Link to this news (এই সময়)