লেকটাউন দক্ষিণদাঁড়িতে একটি বহুতলের দোতলায় রয়েছে ওই স্টুডিওটি। ঘড়ির কাঁটায় তখন বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে হবে। সেই সময় আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে সম্পূর্ণ স্টুডিওকে। খবর যায় দমকলে। দমকলের পরপর দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। লেকটাউন থানার পুলিশও যায়। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান দমকল কর্মীরা। কীভাবে ওই ফিল্ম স্টুডিওতে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগলেও লাগতে পারে। তবে অন্যান্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। হতাহতের কোনও খবর নেই।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধেয় বড়বাজারের মেছুয়ায় একটি হোটেলে আগুন লাগে। তাতে প্রাণ হারান ১৫ জন। মৃতদের তালিকায় রয়েছে ২ শিশুও। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিবিপর্যস্ত এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। ওই হোটেলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল বলেই দাবি করেন তিনি। ওই এলাকার বিপজ্জনক এলাকার বাড়ির বাসিন্দাদের নিজেদের প্রাণের স্বার্থে সরে যাওয়ার আর্জিও জানান। তাঁর কথামতো কাজ না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানান ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ মুখ্যমন্ত্রী। মেছুয়া থেকে এরপর সরাসরি পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউসে যান তিনি। সেখানে পরপর ২৪টি গ্যাস সিলিন্ডার সাজানো দেখে রেগে আগুন মুখ্যমন্ত্রী। ছাদে রেস্তরাঁ চলবে না বলেও জানান। তাঁর নির্দেশের পর আপাতত ম্য়াগমা হাউসের ৬টি রেস্তরাঁ সিল করে দেওয়া হয়েছে।