• দিঘার জগন্নাথধাম বাড়াচ্ছে ফুল বিক্রি, মুখে হাসি ফুল ব্যবসায়ীদের
    প্রতিদিন | ০১ মে ২০২৫
  • সৈকত মাইতি, তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটনকেন্দ্রে নতুন সংযোজন হিসাবে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের ফলেই ফুলের বাজার চাঙ্গা হল কোলাঘাটে। আর তাতেই বেশ খানিকটা উৎসাহিত জেলার ফুলচাষি থেকে শুরু করে ফুল ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই চৈত্র মাসে বিয়ের মরশুম না থাকায় ফুলের দর একেবারে প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। চড়া রোদ্দুরের মধ্যে মাঠের ফুল ঘাটের কড়ি খরচ করে তুলে এনেও দাম না পেয়ে রাস্তার পাশেই বহু মূল্যের সেই ফুল ফেলে দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ফুল চাষিরা।

    দীর্ঘদিনের সেই খরা কাটিয়ে বাংলা নববর্ষে সেই ফুলের দর অবশ্য খানেকটা হলেও বাড়তে শুরু করেছিল। আর তার মধ্যেই সেই বাড়তি দামের পালে হাওয়া জুগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হয়। ফলে একদিকে যেমন অক্ষয় তৃতীয়া, তেমনই অন্যদিকে দিঘার জগন্নাথদেবের আরাধনা ঘিরে আচমকা ব্যাপক ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুলের দাম খানিকটা হলেও বেড়েছে বলে দাবি জেলার ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের। যার ফলে বুধবার কোলাঘাট-দেউলিয়া-পাঁশকুড়া-সহ বিভিন্ন ফুলবাজারে এক ধাক্কায় রজনীগন্ধা-১৩০ টাকা কেজি, দোপাটি-৪০ টাকা কেজি, গাঁদা-৩৫ টাকা কেজি দরে দেদার ফুল বিক্রি হয়। সেইসঙ্গে প্রতিপিস পদ্ম-৫০ টাকা, বেল-৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং গোলাপ-২ টাকা পিস দরে বিক্রি হয়েছে।

    পাঁশকুড়ার ফুলচাষি গণেশ মাইতি, দেউলিয়ার ফুল ব্যবসায়ী অজিত মণ্ডল, কোলাঘাটের ফুল চাষি বিশ্বজিৎ মান্না জানান, চৈত্র মাসে ফুল বিক্রি করে ফুল তোলার খরচটুকুও ওঠেনি। বাংলা নববর্ষের পর খানিকটা দাম বাড়তে শুরু করেছিল। বর্তমানে ফুলের বাজার খানিকটা চড়া হয়েছে। তবে জেলায় ফুল থেকে উপজাত সামগ্রী তৈরির বন্দোবস্ত থাকলে যে সময় ফুল অবিক্রি থাকে, সেই সময় লোকসানের মুখে পড়তে হত না। সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, “গ্রীষ্মের মরশুমে এমনিতেই ফুলের বেশি ফলন হয়ে থাকে। চৈত্র মাসে সেই অর্থে বিয়ের মরশুম-সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রাচুর্য না থাকায় ফুলের দাম একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ও অক্ষয় তৃতীয়ার জোড়াফলার কারণে জেলার ফুল বাজারগুলিতে ফুলের বাজার ছিল অনেকটা চাঙ্গা।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)