বিকেলের পর প্রবল ঝড়বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় ভয়াবহ ঝড়ের দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে একজনের। কোথাও উপড়ে এসেছে গাছ, কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি হেলে গিয়েছে। যদিও তড়িঘড়ি কাজ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয় রেলের তরফে।
বারাসত হাটখোলা ইন্দিরা কলোনি এলাকায় স্থানীয় একটি ক্লাবের পাশেই বড় একটি বটগাছ ছিল। এ দিনের ঝড়ের দাপটে বটগাছের একটি ডাল ভেঙে পরে হঠাৎ। সেই সময় এক যুবক গাছের নীচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই ডাল তাঁর মাথায় পড়ে। এলাকার লোকজন বারাসত থানায় খবর দেন। নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গোবিন্দ বৈরাগী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হলো পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের ট্রেন পরিষেবা। দুই ডিভিশনের মধ্যে শিয়ালদহে এই প্রাকৃতিক গোলযোগের অভিঘাত অনেক বেশি ছিল। পূর্ব রেলের তরফে খবর, শক্তিশালী ঝড়ের মুখে পড়ে শিয়ালদহ ডিভিশনের বেশ কিছু জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে কোথাও ট্র্যাকের উপর পড়ে, কোথাও আবার ওভারহেড তারে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিরাটি ও মধ্যমগ্রামের মাঝে সন্ধ্যে ৭টা২০তে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৭টা৪৫ তা ঠিক করা হয়।
অন্যদিকে ইছাপুর স্টেশনে সন্ধ্যে ৭টা২৩ থেকে ৮টা৩৫ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। চক্ররেলে প্রিন্সেপ ঘাট ও বিবাদী বাগের মাঝে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যায়। ৭টা২৫ নাগাদ এই বিপত্তি ঘটে। ৮টা২০তে তা সারানো হয়। এর ফলে এই ডিভিশনে অন্তত ২০টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলেছে।
হাওড়া ডিভিশনের শ্রীরামপুর স্টেশনেও ৭টা১৫ নাগাদ গাছের ডাল পড়ে ওভারহেড তার ছিঁড়ে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। তবে ৭টা৫০ নাগাদ এই লাইনে ফের ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়। রাত ১০টা নাগাদ দুই ডিভিশনেই স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়।