নিজেদের জীবন বাঁচান আগে, বড়বাজারে বাসিন্দাদের অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর...
আজকাল | ০২ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেউ ঝাঁপ দিয়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে। কেউ আটকে পড়েছিলেন হোটেলের ভিতরেই। বড়বাজারে হোটেল অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু মিছিল। প্রাণ গিয়েছে ১৪ জনের। দিঘা থেকে ফিরেই, বৃহস্পতিবার বড়বাজারে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বাসিন্দাদের অনুরোধ করলেন। বললেন, জীবন মূল্যবান। আগে জীবন। বেআইনি কোনও বিষয়ে রেয়াত নয় কাউকে, কড়া বার্তা দিলেন সেই বিষয়েও।
মঙ্গলবার সাড়ে আটটা নাগাদ বড়বাজারের ঘিঞ্জি এলাকার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাতেই দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন পৌঁছে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় হোটেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে দিঘা থেকে ফোন করে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ তাঁর নির্দেশেই ঘটনাস্থলে যান নগরপাল মনোজ ভার্মা, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা। দিঘা থেকে ফিরেই, বৃহস্পতিবার দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা, মন্ত্রী শশী পাঁজাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী। জানান, দীঘায় থাকাকালীন তিনি যোগাযোগ রেখেছিলেন কলকাতার সঙ্গে।
অগ্নিকাণ্ড কবলিত ওই হোটেলটি সিল করে দেওয়া হবে বলে সাফ জানান মমতা। হোটেলের চরম অব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানান, ‘সিঁড়িতে কেউ নামতে পারেনি। দু’জন সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে সিঁড়িতেই ‘ট্র্যাপ’ হয়ে মারা গিয়েছে। দমকল এবং পুলিশ মই ব্যবহার করে, পাশের বাড়ির সাহায্য নিয়ে ৯০ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছি। দমকল যখন প্রবেশের চেষ্টা করে, তখন হোটেলের ঘর বন্ধ ছিল।‘ তিনি হোটেলের, পারিপার্শ্বিক হোটেল, এলাকার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন, মানুষের জীবন আগে। প্রয়োজন সব পক্ষের একসঙ্গে বসে কথা বলা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনের স্বার্থে, সবকিছুর উর্দ্ধে উঠে, কিছুদের জন্য যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন অন্যত্র সরিয়ে বাড়িগুলির সংস্কারে সুবিধা করে দিতে হবে। বলেন, ‘আমরা তো বলছি না কাউকে ছেড়ে দিতে হবে। আপনাদেরও শুনতে হবে।‘ একই সঙ্গে বলেন, ‘আপনাদের জমি, ঘর নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে, বাড়ির মালিকের সঙ্গে ভাড়াটিয়ার সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আপনাদের বুঝতে হবে এটি জীবন-মরণের প্রশ্ন। যদি ভাল ভাবে জীবনে বাঁচতে চান, তা হলে যাঁরা সশরীরে এখানে বাস করেন, তাঁদের সঙ্গে পুলিশ-পুরসভা কথা বলবে।‘ কোন কোন মালিক তিনজনকে একই সম্পত্তি বিক্রি করে দেন বলেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।