পাক পতাকা লাগিয়ে সম্প্রীতি নষ্টে উসকানি! বনগাঁয় গ্রেপ্তার হিন্দু ঐক্য মঞ্চের ২
প্রতিদিন | ০২ মে ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টে উসকানি দেওয়ার ছক! এই অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করল বনগাঁ পুলিশ। ধৃত দুজনই হিন্দু ঐক্য মঞ্চের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। গোপালনগর থানা এলাকার আকাইপুর স্টেশনের শৌচাগারের পাশ থেকে পাকিস্তানি পতাকা উদ্ধার হয়। সেই সূত্র ধরে তদন্তে নামে বনগাঁ পুলিশ। দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। জেরা করে জানা গিয়েছে তাদের পরিকল্পনা ছিল আরও বৃহৎ। বিতর্কিত স্লোগান লেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জাল ধরা পড়ল এই দু’জন। ধৃতরা হল চন্দন মালাকার এবং প্রজ্ঞাজিৎ মণ্ডল। জেরায় তারা মেনে নিয়েছে যে পাকিস্তানি দেওয়ালে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। সঙ্গে স্লোগান লেখারও ছক ছিল।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, বুধবার গোপালনগর এলাকা থেকে পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে সম্প্রীতি নষ্টের ছক কষে ছিল দু’জন। শুধু তাই নয়, সেখানে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ, হিন্দুস্থান মুর্দাবাদ’ স্লোগানও ব্যবহার করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোপালনগর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম চন্দন মালাকার ও প্রজ্ঞাজিত মন্ডল। বাড়ি গোপালনগর এলাকায়।” পুলিশ সুপার আরও বলেন অভিযুক্ত চন্দন মালাকার হিন্দু ঐক্য মঞ্চের কর্মী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বনগাঁ সংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন,”বিজেপি কর্মীরা চক্রান্ত করে সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে ৷ এটাই তার সবচাইতে বড় প্রমাণ। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত করে দেখা হোক, আরও অনেকে যুক্ত আছে।” যদিও ধৃতরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার প্রতিবাদে তাঁরা পাকিস্তানের পতাকা পা দিয়ে মাড়িয়েছেন। কোনও সম্প্রীতি নষ্ট করেননি। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, সনাতনীরা যখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন পুলিশ সনাতনীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।