• ৬৯৬ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের অদৃত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ মে ২০২৫
  • মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জেলার জয়জয়কার। মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের পড়ুয়া অদৃত সরকার। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬, শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দু’জন – মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অনুভব বিশ্বাস এবং বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের সৌম্য পাল। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। মাধ্যমিকে তৃতীয় এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরোজ বাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ঈশানী চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪।

    রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের পড়ুয়া অদৃতর কথায়, ‘মেধা তালিকায় থাকব ভেবেছিলাম, তবে প্রথম হব, আশা করিনি। খুবই ভালো লাগছে। নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় এনে দিয়েছে এই সাফল্য।’ আদৃতর প্রিয় বিষয় বায়োলজি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য এবং গাইডেন্স এত ভালো ফল করতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে অদৃত।

    শুক্রবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে ফল ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। এ বছরের মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল গত ১০ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষের ৬৯ দিনের মাথায় ফল ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, এ বছর মাধ্যমে প্রথম দশে আছে ৬৬ জন। তবে প্রথম হয়েছে এক জনই। ৬৯৬ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রায়গঞ্জের অদৃত সরকার। মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। তার পর যথাক্রমে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে।

    পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbbse.wb.gov.in থেকে রেজাল্ট জানা যাচ্ছে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে মাধ্যমিকের রেজাল্ট লেখা লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট বক্সে মাধ্যমিকের রোল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিতে হবে। তাহলেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট দেখা যাবে।

    চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নাম নথিভূক্ত করেছিল ৯,৮৪,৮৯৪ জন ছাত্র-ছাত্রী। এই সংখ্যাটা গত বছরের থেকে ৬২ হাজারেরও বেশি। বেশ কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী অবশ্য পরীক্ষায় বসেননি। রাজ্যজুড়ে মোট ২,৬৮৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষায় ‘কাস্টডিয়ান’ ছিলেন ৪২৩ জন। এ বছরেও কড়া নজরদারিতে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করায় অনেকের পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)