১২ জন গৃহশিক্ষক, পড়ার চাপের মধ্যেও শখ আঁকা, মাধ্যমিকে প্রথম হয়ে অবাক অদৃত
প্রতিদিন | ০২ মে ২০২৫
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মাধ্যমিকে এবারও জেলার জয়জয়কার। প্রথম স্থানে রায়গঞ্জের করোনেশন হাই স্কুলের ছাত্র অদৃত সরকার। বরাবরই মেধাবী সে। ১২ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত। তবে নেশা ছবি আঁকা। ভালো ফলের আশা ছিলই। প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই আনন্দে কেঁদে ফেলল অদৃত। বলল, “প্রথম হব কোনওদিন ভাবিনি।”
রায়গঞ্জ পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনগরের বাসিন্দা অদৃত সরকার। তাঁর বাবা অমিত সরকার পেশায় পিএফ কর্মী। মা গৃহবধূ। বরাবরই পড়াশোনা নিয়েই থাকতে পছন্দ করত অদৃত। মাধ্যমিকের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি ছিল, তা বলাই বাহুল্য। ১২ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত সে। অংকের শিক্ষক ছিলেন দু’জন। পড়াশোনা ছাড়া ছবি আঁকা শখ তার। মাধ্যমিকের ফল যে ভালো হবে, সেই বিশ্বাস নিজের উপর ছিল। তবে তাই বলে প্রথম? না তা ভাবেনি অদৃত। শুক্রবার সকালে পর্ষদ সভাপতি প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে নাম ঘোষণা করতেই ঘুম ভাঙে তার। বাবা-মা-দিদির কাছে খবর পেয়েই রীতিমতো কেঁদে ফেলে। এদিকে বাড়ি জুড়ে উৎসবের আমেজ। সন্তানের সাফল্যে গর্বিত বাবা-মা।
অদৃতের দিদি জানিয়েছেন, ভাই বরাবরই পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। ফলে তাকে কখনই জোর করতে হয়নি। তিনি আরও বলেন, “পড়ার বই তো বটেই, অন্যান্য বিষয়ের বই পড়তেও খুব ভালোবাসে। এ ছাড়াও কুইজে ও খুব ভালো, সদ্য জেলার একটি প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে।” এরপর কী করবে অদৃত? ভবিষ্যতে নিট বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স উত্তীর্ণ হওয়াই লক্ষ্য তার।