• রাজ্যে চতুর্থ মহম্মদ সেলিম, সাফল্য উৎসর্গ করল মামাকে
    এই সময় | ০২ মে ২০২৫
  • মামাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা। ছোট থেকে আগলে রেখেছেন মামা। তাঁকেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার সাফল্য উৎসর্গ করল মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে চতুর্থ মহম্মদ সেলিম। পূর্ব বর্ধমানের নিরোল গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সেলিম নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সাতশোর মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।

    ছোট থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী সেলিম, জানিয়েছে পরিবার। দিনের মধ্যে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশোনার জন্য সময় দিত সে। সেলিম নিজেও জানিয়েছে তার পরিশ্রমের কথা। কৃতী পড়ুয়া বলছে, ‘মাধ্যমিকে খুব খেটেছি। স্যররাও খুব আশা করেছিলেন।’ রেজ়াল্ট নিয়ে চিন্তা ছিল না সেলিমের। মেধাতালিকায় নাম উঠবে কিনা তা নিয়েও চিন্তা ছিল না তার।

    কী ভাবে জানা গেল সাফল্যের খবর?

    সেলিম বলছে, ‘তখন ভাত খাচ্ছিলাম। মাসির মোবাইলে সাংবাদিক সম্মেলন দেখছিলাম। তখনই দেখি আমার নাম ঘোষণা করল।’ এই সাফল্য খুশি পরিবার, খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ভিড় করেছেন পড়শিরা।

    মামাবাড়িতে থেকে বড় হওয়া এবং পড়াশোনা সেলিমের। ছোট থেকে তার মামা মহম্মদ ফজলে করিম পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় গাইড করেছেন সেলিমকে। সাত বছর আগে মারা গিয়েছেন সেলিমের মা। বাবা অবসর নিয়েছেন। নিজের সাফল্য মামাকেই উৎসর্গ করেছে সেলিম। পড়াশোনার প্রতি পদে তার মামা পাশে থেকেছে বলে জানিয়েছে সেলিম।

    বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে সেলিমের। প্রিয় বিষয় রসায়ন। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছে রয়েছে মাধ্যমিকের এই কৃতীর। মামা ছাড়াও শিক্ষকদের কথাও বারবার শোনা গিয়েছে সেলিমের মুখে। পড়াশোনা এবং প্রস্তুতির প্রতি পদে শিক্ষকেরা তাকে গাইড করেছে বলে জানিয়েছে সে। তার স্কুলের ২ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে, সেলিম বলছে, ‘আমাদের ২ টিচার ছিলেন। খুব ভালো পড়াতেন। খারাপ লেগেছে আমার।’

    পড়াশোনা ছাড়া আর কী ভালো লাগে সেলিমের?

    পড়াশোনা হয়ে গেলে বাগানে ঘুরতে ভালোবাসে সেলিম। এছাড়াও আর কোনও বিশেষ হবি নেই তার। পড়ার বইয়ের বাইরে অন্য বইও ভালোবাসে পড়তে, সেলিমের প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • Link to this news (এই সময়)