সারাদিন নয়, বরং সময় পেলেই পড়তে বসত মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় হওয়া ঈশানী চক্রবর্তী। ৭০০ নম্বরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে সে ভালোবাসে। তার ইচ্ছে, বিজ্ঞান নিয়ে ভবিষ্যতে গবেষণা করার। কিন্তু শুক্রবার সকালে নিজের রেজাল্ট শোনার পর একটু হলেও অবাক হয়েছে ঈশানী। ভালো রেজাল্ট হবে সে জানত। কিন্তু মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে তার নাম থাকবে তা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, জানাচ্ছে ঈশানী।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরোজবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ঈশানী কী বলছে নিজের রেজাল্ট দেখার পর? কতটা সময় সে দিত পড়াশোনার জন্য? ঈশানী বলেন, ‘আমি সকালে উঠে প্রথমেই ভাবতাম সেই দিন কোন কোন বিষয় পড়ব। তারপর সেগুলো পড়তে যতক্ষণ সময় লাগত, ততক্ষণই পড়তাম। কোন ধরাবাঁধা সময় ছিল না। আজকে আমার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার মা-বাবার।’ তবে সেই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাও বলতে ভোলেনি কৃতী ছাত্রী।
ঈশানী পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসে। কৃতী ছাত্রী আরও বলে, ‘আমি আমার স্কুল ও জেলার নাম উজ্জ্বল করতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। আমি আসা করেছিলাম ৯৭ শতাংশ পাব। কিন্তু এতটা আশা করিনি।’ ঈশানী পরীক্ষার সময় আর কী নিয়ম ফলো করত? কৃতী ছাত্রী সকলকে পরামর্শ দিয়ে বলে, ‘সবাই টেক্সট বই যেন খুঁটিয়ে পড়ে। পরীক্ষায় যেন সব প্রশ্নের উত্তর লিখে আসে। আর যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই যেন লেখে।’ মেয়ের এই সাফল্যে তার বাবা-মা খুব খুশি হয়েছেন। তাঁরাও এতটা নম্বর আশা না করেননি। কিন্তু তাঁদের মেয়ে যে ভালো রেজাল্ট করবে সেই বিশ্বাস ছিলই।