• ‘কিছুটা ভাগ্যের ব্যাপার আছে’, মাধ্যমিকে দ্বিতীয় মালদার অনুভব গোয়েন্দা গল্পের পোকা
    এই সময় | ০২ মে ২০২৫
  • রামকৃষ্ণ মিশনের বিশেষ গাইডেন্স তো ছিলই। পাশাপাশি গৃহশিক্ষকদের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে অনুভব বিশ্বাস। তাতেই মিলেছে সাফল্য। মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে অনুভব। ৭০০-র মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪।

    তবে এই ফল কি প্রত্যাশিত ছিল? এই সময় অনলাইনেক অনুভব জানাল, ‘কিছুটা ভাগ্যের ব্যাপার আছে। কেমন শিক্ষকের কাছে খাতা যাচ্ছে, তিনি কী ভাবে খাতা দেখছেন, তার উপর অনেকটা নির্ভর করে। তবে ভালো ফল হবে সেটা আশা করেছিলাম।’

    তবে, মাধ্যমিকের আগে কোনও নির্দিষ্ট সিডিউল ছিল না। প্রতিটি বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল অনুভবের। তাঁরা যে ভাবে গাইড করতেন, সেটাই অনুসরণ করতো সে। শিক্ষকদের দেখানো পথেই এই ফলাফল বলে তার দাবি। তার বাবা এখন দিল্লি কর্মরত। তাই অনুভবের পরিবারকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে। সেখান থেকেই পরবর্তী পড়াশোনা চালিয়ে যাবে অনুভব। অনুভবের লক্ষ্য ডাক্তার হওয়ার। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার পর মেডিক্যাল লাইনে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে অনুভব।

    রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের মহারাজ তাপহরানন্দ মহারাজ বলেন, ‘আমাদের স্কুল থেকে তিন জন ছাত্র মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। আমাদের ছেলেরা সারা বছর ধরে পরিশ্রম করে। যেটা তাদের বলা হয়, সেটা মেনে চলে। এরা সকলেই খুব সচেতন। মনযোগ দিয়ে পড়াশোনার জন্যেই এই ফলাফল হয়েছে। অনুভবের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। দিল্লি থেকেই ও পরবর্তী পড়াশোনা করবে।’

  • Link to this news (এই সময়)