সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: পুরনো শত্রুতার জেরে বাটখারা দিয়ে থেঁতলে বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ। মারধর করে জখম অবস্থায় রাস্তার পাশে নালায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ রায়(৬৫)। মঙ্গলকোটের মুরুলে গ্রামের গত বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। ঘটনায় মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের মৃতের পরিবারের।
গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক অমিত মাঝি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ রায় ধান কেনার ব্যবসা করতেন। ঘটনার দিন সকালে অভিযুক্তর বাড়িতে ধান কিনতে গিয়েছিলেন। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি দোকানে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ রায়। সেই সময় আচমকাই অমিত মাঝি দোকানের ভিতরে চড়াও হয়। দোকানের ৫ কেজির বাটখারা তুলে রবীন্দ্রনাথ রায়ের মাথায় আঘাত করে থেঁতলে দেয়।
রাস্তার পাশে নালায় রবীন্দ্রনাথ রায়কে ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অমিত, বলে অভিযোগ। ভয়ে পালিয়ে যায় দোকানদার। মৃতের পরিবারের দাবি, কেন এই খুন তা অজানা। তবে অভিযুক্ত অমিত মাঝির মায়ের দাবি, রবীন্দ্রনাথ রায় বাড়িতে এসে তাকে কুপ্রস্তাব দিত। সেই রাগেই ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও পুলিসের বক্তব্য, এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, কিছুমাস আগে পাটুলি থানা এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনির একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধার অগ্নিদগ্ধ দেহ। নাম, মালবিকা মৈত্র। ২০২২ সাল থেকে ওই আবাসনে ভাড়া থাকতেন বছর বাহাত্তরের এক বৃদ্ধা। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুনের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই বৃদ্ধার সঙ্গেই থাকতেন তাঁর ছেলে অভিষেক। ব্যাংকে কাজ করেন তিনি। কিন্তু যেদিন মায়ের দেহ উদ্ধার হয়, সেদিন থেকে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। আত্মসমপর্ণ করেন অভিষেক। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর, তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।