প্রদ্যুত্ দাস: মাধ্যমিকের (Madhyamik) মেধা তালিকায় গত দু'বছর ধরে প্রথম দশে নেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। গড়ে প্রায় ২৩% এর বেশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য। আর এতেই হতাশার সুর শাসকদলের শিক্ষকদের গলায়। স্কুলগুলিকে দুষে দায়িত্ব এড়ালেন ডিআই। জলপাইগুড়ি জেলায় মাধ্যমিকের ফল প্রত্যাশা মতো হচ্ছে না। বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে রাজ্যের সমস্ত জেলা ধরে ধরে যদি মাধ্যমিকের ফল বিশ্লেষণ করা যায় তবে জলপাইগুড়ি জেলা একেবারে পেছনের সারিতে ছিল।
বছরের পর বছর কেন এমন অবস্থা?
কিন্তু এর মধ্যেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের প্রথম দশ কৃতীদের মধ্যে দু-একজন ছাত্র-ছাত্রী জলপাইগুড়ি জেলার থাকত। গত বছর থেকে সেই গুড়েও বালি। ২০২৪ সাল এবং ২০২৫ সালে একজনও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। আর এতেই হতাশ শিক্ষানুরাগী মহল। পর্ষদের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ২৩০০০ এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী।
কী বলছে শিক্ষামহল?
যারমধ্যে ২২.৯১% ছাত্র এবং ২৬.০৪ % ছাত্রী অকৃতকার্য। এতেই কপালে ভাঁজ শিক্ষানুরাগী মহলের। খারাপ ফল প্রসঙ্গে স্কুলের শিক্ষকদের দুষেছেন ডিআই বালিকা গোলে। তিনি বলেন, মেধা তালিকায় যাতে জলপাইগুড়ি স্থান পায় তার জন্য স্কুলগুলিকে আরও বেশি সচেষ্ট হতে হবে। জয়েন কনভেনার মনজিৎ রায় বলেন, 'এবার তো খুব ভাল পরীক্ষা হয়েছে। আমরা আশা করছিলাম এবার ভাল পরীক্ষা হবে। ভেবেছিলাম জলপাইগুড়ি প্রথম দশে থাকবে। কিন্তু হল না। আসলে চা বাগানের অনেক বাচ্চা আছে। যাঁদের আবার প্রথম প্রজন্ম পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় নেই। আগামীতে নিশ্চয় ভাল ফল হবে।'