• মাতৃহারা ছেলের তাক লাগানো রেজাল্ট মাধ্যমিকে! 'সব কৃতিত্ব মামার', বলছে মহঃ সেলিম...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ মে ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাধ্যমিক পরীক্ষার ৭০ দিনের মাথায় এবারের ফল প্রকাশ। শুক্রবার সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। ফল প্রকাশের পর সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং এসএমএস-র মাধ্যমে তাদের ফল জানতে পারবে। 

    এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ার পর প্রশ্ন উঠে, মাধ্যমিকের ফল প্রকাশে কোনও রকম বিলম্বিত হবে না তো? তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আশ্বাস দিয়েছিলেন, যথাসময়েই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদও এই একই কথা জানায়। এবছর ৭০ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল। ২০২৪ এবং ২০২৩ সালের চেয়েও কম সময়ে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হচ্ছে।

    মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে দুজন। ১. নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব বর্ধমানের মহঃ সেলিম, যার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। ২. কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউটের সুপ্রতীক মান্না, যার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। 

    ২০২৫ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সারা রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে পূর্ব বর্ধমানের নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মহম্মদ সেলিম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। মা মারা যাওয়ার পর ছোট থেকেই মামার কাছেই মানুষ। তার এই কৃতিত্ব সে তার মামাকেই উৎসর্গ করতে চায়। এই খবর পেয়ে অত্যন্ত খুশি তার পরিবার পরিজনরা।

    মাধ্যমিকে মহমদ সেলিমের এই  চোখ ধাঁধানো সাফল্য তার স্কুলের নাম উজ্জ্বল করেছে। নিরোল হাইস্কুলের পড়ুয়া মহম্মদ সেলিম। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সে রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ হয়েছে। সেলিমের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।  

    এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারে সবচেয়ে এগিয়ে পূর্ব মেদনীপুর। দ্বিতীয় কালিম্পং ও তৃতীয় হয়েছে কলকাতা। এবছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৪ জন। গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ বেশি। পরীক্ষার ৭০ দিনের মাথায় মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ। মাধ্যমিকে এবারে চতুর্থ হয়েছে কেতুগ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সেলিম। তার এই সাফল্যে অভীভূত তার পরিবারের সকলে।

    মাধ্যমিকের চতুর্থ স্থানাধিকারী মহম্মদ সেলিম বলেছেন, 'আমার খুবই ভালো লাগছে। পরীক্ষার ফল আমি ৯টার সময় জানতে পারি। চেষ্টা করেছিলাম খুব ভালো রেজাল্ট করার। কিন্তু এতটা পাবো তা আমি ভাবতে পারিনি। ভালো গাইডেন্স পেলেই ভালো ফল হবে, শুধুমাত্র যে শহরে থাকলেই যে ভালো ফল হবে এমনটা নয়। আমি খুব গল্পের বই পড়তে ভালোবাসি। আমি পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাই।'

    প্রসঙ্গত মহম্মদ সেলিমের মা ছোটবেলায়ই মারা যায়। মা-বাবার গাইডেন্স ছাড়া বেড়ে ওঠা ছেলেই আজ মাধ্যমিকে প্রথম। যদিও প্রথম থেকেই তার পাশে ছিলেন তার মামাই। তার মা মারা যাবার পর থেকেই তার মামার সানিধ্যেই সে বেড়ে উঠেছে। তাই তার এই সাফল্য সে তার মামার সঙ্গেই ভাগ করে নিতে চায়। তার এই খুশিতে তার পরিবারের মানুষজন যেমন খুবই খুশি তেমনই তার স্কুলের শিক্ষকরাও খুবই খুশি। তার স্কুলের শিক্ষকরা বলেছেন, ছোটো থেকেই সে খুব ভালো ছেলে ছিল। তার যে এমন ভালো রেজাল্ট হতে পারে তা তাঁরা আগে থেকেই জানতেন। তার এই রেজাল্টে তাদের স্কুলের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। তার মামা বলেছে, তিনি খুবই খুশি। তার  জন্য গর্বিত পরিবারের সকলে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)