জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবছরও পাশের হারে ফের কলকাতাকে টেক্কা দিল জেলা। পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর, তৃতীয় কলকাতা। ৬৯৬ পেয়ে এবছর একাই প্রথম স্থান জয় করল রায়গঞ্জের অদৃত সরকার। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র অদৃত। ভালো রেজাল্ট হবে বলে জানা ছিল। কিন্তু প্রথম হবে, সেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল বলে জানিয়েছে অদৃত।
ভবিষ্যতে অদৃতের মেডিক্যাল নিয়ে এগোনোর ইচ্ছা আছে। তবে যদি অন্য কোনও বিষয়ে আগ্রহ বাড়ে তাহলে সে নিয়েও পড়াশোনা করতে পারে বলে জানিয়েছে সে। মাধ্যমিকে প্রথম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রেজাল্ট প্রকাশের পর তার বাড়িতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সংবাদমহল থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজনের ভিড় জমে যায় তার বাড়িতে।
মাধ্যমিকের প্রস্তুতির জন্য ঠিক কতক্ষণ পড়াশোনা করেছে সে? অদৃত তার উত্তরে বলে, 'সে রকম বাধা ধরা কোনও শিডিউল ছিল না। যতটুকু প্রতিদিন ইচ্ছা করত, ততটাই প্রত্যেকদিন পড়তাম।' সে আরও বলে, 'অভাবনীয় অনুভূতি। বাবা-মার একটা স্বপ্ন ছিল। সারা বছর যা পরিশ্রম করেছি, তার ফল পেয়েছি। নাম ঘোষণার পর থেকে বাড়িতে ফোন এসেই যাচ্ছে।' অদৃত আরও বলে, 'বায়োলজি তার প্রিয় বিষয়। কিন্তু মাধ্যমিকের জন্য সব বিষয়ই সমানভাবে পড়েছে।'
উল্লেখ্য, যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্য়ামন্দিরের ছাত্র অনুভব বিশ্বাস ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাই সকুলের ছাত্র সৌম্য পাল। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। ৬৯৩ পেয়ে তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের ঈশানী চক্রবর্তী। মেয়েদের মধ্যে ঈশানী প্রথম। চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে দুজন। ১. নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব বর্ধমানের মহঃ সেলিম, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। ২. কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউটের সুপ্রতীক মান্না, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।