শুধু মুখস্থ বিদ্যা নয়, পড়াশোনা ছাড়াও এই দু’টি কাজই প্রিয় মাধ্যমিকে তৃতীয় ঈশানীর
প্রতিদিন | ০২ মে ২০২৫
অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: মা পেশায় শিক্ষিকা। সারাক্ষণ সেভাবে মেয়েকে সময় দিতে পারতেন না। তা সত্ত্বেও পড়াশোনায় কোনও খামতি ছিল না। স্বেচ্ছায় বইখাতা নিয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটত তার। ভালো ফল যে হবে, সে স্বপ্ন ছিল। তবে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় (WB Madhyamik Result 2025) থাকতে পারবে, আশা করেনি বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তৃতীয় স্থানে নাম শুনে অবাক হয়ে যায় সে। মেধাতালিকায় তৃতীয় হলেও, রাজ্যে ছাত্রীদের মধ্যে প্রথম সে।
কোতুলপুর সরোজবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ঈশানী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে চলতি বছর মাধ্যমিক পাশ করেছে ওই ছাত্রী। এই ফলাফলে (Madhyamik Result 2025) আপ্লুত সকলে। সুখবর শোনার পর থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছে ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন। চলছে মিষ্টিমুখ। ঈশানীর সাফল্যে অত্যন্ত খুশি তার গৃহশিক্ষক। পঞ্চম শ্রেণি থেকে ঈশানীকে পড়াচ্ছেন তিনি। বলেন, “প্রথম থেকে ওর পড়াশোনায় খুব মন। শুধু মুখস্থ নয়। বুঝে পড়তে ভালবাসত। যা বাড়ির কাজ দিতাম, তা সঠিকভাবে করে রাখত। ওকে ইংরাজি গ্রামার খুব ভালো করে পড়াতাম। আমি ওকে গবেষক হিসাবে দেখতে চাই।” গান ও আঁকায় বেজায় ভালো ঈশানী।
ছোট থেকে একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে উঠেছে ঈশানী। মা, বাবার সঙ্গে জেঠু, জেঠিমা, দাদার আদরে বেড়ে উঠেছে সে। ঈশানী গবেষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তাঁর স্বপ্ন সফলে পরিবারের লোকজনেরা সবসময় পাশে আছেন। মা সোনালী চক্রবর্তী, পেশায় শিক্ষিকা। মেয়ের দারুণ ফলাফলে বেজায় খুশি তিনি। নিজে হাতে মিষ্টিমুখ করান মেয়েকে। বলেন, “আমরা ভীষণ খুশি। ছোট থেকে মেয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী। সে কারণে এত ভালো ফল করতে পেরেছে।”