• সেক্টর ফাইভে বিধ্বংসী আগুন, পরপর বিস্ফোরণ, দাউ দাউ করে জ্বলছে, এলেন মন্ত্রী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মে ২০২৫
  • আবার শহরে বিধ্বংসী আগুন। সেক্টর ফাইভের ফ্লেক্স তৈরির কারখানায় ভয়াবহ আগুন। একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারদিক। অফিস পাড়ায় একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এটা ফ্লেক্স তৈরির কারখানা। সেখানে দাহ্য পদার্থে ঠাসা রয়েছে। সেখানে একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে। দাউ দাউ করে লেলিহান শিখা গ্রাস করছে কারখানাকে।

    এদিকে সামনের একটি নির্মীয়মান বহুতল থেকে জল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে সেটা যথেষ্ট নয়। প্রথমে দমকলের একটা ইঞ্জিন আসে। পরে আরও ইঞ্জিন আসে। অন্তত ৫টা জায়গা থেকে জল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে এসেছেন। সুজিত বসু জানিয়েছেন, এখানে হলোগ্রাম তৈরি হয়। প্রচুর রাসায়নিক আছে। একটু সময় লাগবে। মনে হচ্ছে কেউ আটকে নেই।

    সূত্রের খবর, ওই কারখানার মধ্য়ে দাহ্য় পদার্থ একেবারে ঠাসা রয়েছে। সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খায় দমকল। এক জায়গা থেকে জল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। দেখা যায় অন্য় জায়গায় আগুন জ্বলছে।

    ঘটনার খবর পেয়েই দমকলমন্ত্রী এলাকায় যান। তিনি জানিয়েছেন যেখানে আগুনের সোর্স সেখানকার জায়গাটি অত্যন্ত গরম। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সব চেষ্টা করা হচ্ছে।

    আগুন কীভাবে লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেটা দেখা হচ্ছে।

    এদিকে কারখানার বাইরে থেকেও দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা একেবারে দাউ দাউ করে জ্বলছে। দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সবরকম চেষ্টা করে। কিন্তু একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। মনে করা হচ্ছে ভেতরে এমন কিছু ঠাসা রয়েছে যে আগুনের কুন্ড ওই ভাবে ওপর দিকে উঠতে থাকে।

    সূত্রের খবর, ওখানে দাহ্য় পদার্থ ঠাসা ছিল। সেখানেই আগুন ধরে।

    এদিকে কিছুদিন আগেই বড়বাজারের হোটেলে আগুন লেগেছিল। মারা গিয়েছিলেন ১৪জন। তার রেশ ফুরোয়নি এখনও। তার আগেই ফের আগুন। এবার একেবারে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ভয়াবহ আগুন। দমকলের সব মিলিয়ে আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করছে। গল গল করে কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কিছু পকেট ফায়ার এখনও রয়েছে বলে খবর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)