রাজস্থানে ঘুরতে গিয়েছিল মায়ের সঙ্গে। সেই সময়েই বেরোল মাধ্যমিকের ফল। তারপর থেকে ক্রমাগত ফোন এসেই চলেেছ ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া সৌম্যতীর্থ করণের কাছে। কারণ মাধ্যমিকে রাজ্যে পঞ্চম হয়েছে সৌম্যতীর্থ। সাতশোর মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। রাজস্থান থেকে এই সময় অনলাইনকে জানালেন তার প্রতিক্রিয়া।
ঘোরার মাঝে কী ভাবে খবর মিলল এমন রেজ়াল্টের?
সৌম্যতীর্থ বলছে, ‘আজ তো লাইভ দেখছিলাম। যখন নাম শুনলাম একেবার অবাক হয়ে গিয়েছিলাম... তারপর দেখি পরপর ফোন আসছে। স্কুলের এক শিক্ষক ফোন করেছিলেন। তখনই ভালো করে জানলাম। মহারাজের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’
পঞ্চম শ্রেণিতে অ্যাডমিশন টেস্ট দিয়ে সুযোগ পেয়েছিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। তারপর থেকে স্কুল ঘিরেই কেটেছে জীবন। আবাসিক স্কুলে শিক্ষক, বন্ধুরাই হয়ে উঠেছিল পরিবার। সেই কথাই এ দিন জানাল সৌম্যতীর্থ। মাধ্যমিকের কৃতি পড়ুয়া বলছে, ‘আমাদের স্কুল পরিবারের মতো। স্যরেদের দাদা বলি। বাবা-মা কাছে নেই, সেটা ফিল হতে দেয়নি।’ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে শুধু পড়াশোনাই নয়, খেলা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক নানা বিষয়েই মগ্ন থাকে এই স্কুলের পড়ুয়ারা। পড়াশোনার বিষয়টিও সবসময়েই অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে সৌম্যতীর্থর কাছে। সে বলছে, ‘বাবা-মার মতো এখানে মহারাজ, শিক্ষকেরা, অশিক্ষক কর্মীরাও সাপোর্ট দিত।’ সৌম্যতীর্থর বাবা ব্যবসায়ী, মা হাউজ়ওয়াইফ। স্কুলের পাশাপাশি, তার এই রেজ়াল্টের জন্য বাবা-মায়ের অবদানের কথাও বলেছে মাধ্যমিকের এই কৃতী পড়ুয়া।
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে সৌম্যতীর্থর। সে ভাবেই পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সে। এখনও সপ্তাহ দু’য়েক দেরি রয়েছে রাজস্থান থেকে ফিরতে। ফলে এত ভালো রেজ়াল্টের উদযাপন হতে এখনও কিছুটা দেরি। রেজাল্ট জেনে বাড়ি ফেরার জন্য, বিশেষ করে স্কুলে যাওয়ার জন্য উন্মুখ মাধ্যমিকের এই কৃতী।