একদা ফরাসি উপনিবেশ এবার হোক ‘হেরিটেজ’, স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে দাবি চন্দননগরবাসীর
প্রতিদিন | ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: চন্দননগরের সঙ্গে ফরাসিদের সম্পর্ক সেই কবেকার! ৭৫ বছর আগের এই দিনে ফরাসি উপনিবেশের পরিচিতি ছেড়ে স্বাধীন হয়েছিল হুগলি নদীর তীরবর্তী জনপদটি। স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার তাই দিনভর নানা অনুষ্ঠান হয়ে গেল সেখানে। এমন পবিত্র দিনে ফরাসিদের সাজানো-গোছানো সেই জনপদের বাসিন্দারা দাবি তুললেন, এবার হেরিটেজ ঘোষণা করা হোক চন্দননগরকে। এই মর্মে চিঠি লিখে হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানানো হল।
ঐতিহাসিক তথ্য বলছে, ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট। ওই দিনই দেশজুড়ে পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। তবে অনেকেরই অজানা তৎকালীন সময়ে সারা দেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও চন্দননগর শহর ছিল তখনও পরাধীন। ফরাসিরা তখনও দখল করে রেখেছিল চন্দননগরকে। প্রায় চার বছর পর, ১৯৫০ সালের ২ মে ফরাসি শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে চন্দননগর।
শুক্রবার সকালে প্রভাতফেরি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় কলেজের তরফে। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকার, কলেজের বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা। ছিলেন চন্দননগরের বিশিষ্টজন। অধ্যক্ষ দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘চন্দননগরকে হেরিটেজ নগরীর স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করা হয়েছে হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।’’ শুক্রবার ধাত্রীভূমির এই ঐতিহ্যকে উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়ার দায়িত্ব পালনের লক্ষ্য থেকে ছাত্র-শিক্ষক, শিক্ষা-সহায়ক কর্মী, চন্দননগর কলেজের প্রাক্তনী সংসদ ও শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষ থেকে হেরিটেজ কমিশনের কাছে এই শহরকে ‘হেরিটেজ সিটি’ হিসাবে মান্যতা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই চন্দননগর কলেজ বিল্ডিংকে ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড। এবার গোটা চন্দননগর শহরকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন আর জোরাল হল।