অর্ণব দাস, বারাকপুর: চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ফেরার পথে রহস্যমৃত্যু খড়দহের স্কুল শিক্ষকের। দিন তিনেক নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার দুপুরে ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। এই দুঃসংবাদ পরিবারে পৌঁছতেই সদস্যরা অভিযোগ তোলেন, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃত বছর পঁচিশের শানু মণ্ডল। মালদহের কালিয়াচক এলাকার বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ স্কুলে পড়াতেন তিনি। সেখান থেকে গত রবিবার বোলপুরের এক স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়েও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন শানু। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। তাতে চিন্তিত হয়ে পরিবারের লোকজন মালদহের কালিয়াচকে ছুটে যান। কিন্তু ছেলেকে সেখানে পাননি। তাতে তাঁদের উদ্বেগ আরও বাড়ে। এরপর কালিয়াচক থানায় মিসিং ডায়েরি করতে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু অভিযোগ, তা গ্রহণ করেনি থানা।
এরপর শুক্রবার দুপুরে ফরাক্কা ব্যারেজের কাছে জলে পড়ে থাকা অবস্থায় শানুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নার রোল। ছবি হাতে নিয়ে শানুর মা, কাকিমা বারবার বলতে থাকেন, ছেলেটা যে নেই, বিশ্বাসই হচ্ছে না। তাঁদের সকলের একটাই অভিযোগ, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। শানুর কাকার কথায়, ”ও ওখানে (মালদহ) একাই থাকত। সঙ্গে কেউ ছিল না। তাই একটু ছটফট করত। কিন্তু কোনও সমস্যা হচ্ছে বা কোনও শত্রু হয়েছে, এমনটা তো শুনিনি কখনও। বরং রবিবার বোলপুরের একটা স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে যাবে বলে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ কী যে হয়ে গেল… আমরা জানি, ও আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়। ওকে কেউ খুনই করেছে। কারা করেছে, জানি না।” প্রতিবেশীদেরও দাবি, মাত্র ২৫ বছর বয়সে শানু মণ্ডলকে এভাবে চলে যেতে হল, এর সঠিক তদন্ত হোক।