গোবিন্দ রায় ও সঞ্জিত ঘোষ, বসিরহাট ও নদিয়া: রাজ্যের দুই জেলায় সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। নদিয়ার হাঁসখালি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক মহিলাকে। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় এক অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযান চালায় পুলিশ। দুই জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হয়। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে সীমান্ত এলাকাগুলিতে তল্লাশি অভিযান বেড়েছে। পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জের দক্ষিণ বাঁকড়া এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম জাহাঙ্গির হোসেন। জানা গিয়েছে, গত ১০ বছর আগে ওই ব্যক্তি ভারতে এসে ওই এলাকায় বসবাস শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এদেশের পরিচয়পত্র তৈরি করে ফেলে সে। এই এলাকার এক মহিলাকে বিবাহ করে বাঁকড়া এলাকায় থাকছিলেন তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতে সেখানে হানা দেয়। হিঙ্গলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল প্রামাণিকের নেতৃত্বে এই অভিযান হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপজেলার কালিগঞ্জ থানার অন্তর্গত বসন্তপুর এলাকায়। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। ধৃতদের এদিন বসিরহাট আদালতে তোলা হয়।
অন্য দিকে, নদিয়ার রামনগর জিপির নিমতলা বাজার মোড়ের কাছে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ফরিদা খাতুন। তিনি বাংলাদেশের যশোর এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, গত আট-নয়মাস আগে সীমান্ত পেরিয়ে তিনি এদেশে এসেছিলেন। তারপর তিনি মুম্বইতে চলে যায়। সেখানেই তিনি কাজকর্ম করতেন বলে খবর। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় ঘুরছিলেন। সেসময় টহলহারি পুলিশ তাকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার থেকে কোনও এদেশে থাকার বৈধ কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা বাংলাদেশ ফেরার চেষ্টা করছিলেন। আজ শুক্রবার তাকে রাণাঘাট আদালতে তোলা হয়। দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকা থেকে সম্প্রতি একাধিক অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে।