• অপ্রতিরোধ্য মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির
    বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
  • সৌম্য দে সরকার, মালদহ: শৃঙ্খলা ও মেধার ঘোড়ায় চেপে সাফল্যের গতিপথে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য যাত্রা অব্যাহত রাখল মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। শুক্রবার প্রকাশিত মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে রাজ্যের প্রথম সারির বিদ্যালয়ের তিন জন ছাত্র। শুধু তাই নয়, এই প্রথমবার এই স্কুলের ইংরেজি মাধ্যম বিভাগের ছাত্ররা মাধ্যমিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল। তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো ফল করেছে তারাও। বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র ও অভিভাবকরা এই লাগাতার সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দজী মহারাজ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক ব্রহ্মচারী জিষ্ণু চৈতন্য’র নিরলস পরিশ্রমকে। 

    মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অনুভব বিশ্বাস (৬৯৪)। এছাড়াও অরিত্র সাহা ও সৃজন প্রামাণিক ৬৮৮ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করেছে।

    প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দজী মহারাজ বলেন, এবছর আমাদের বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ১৩৭ জন ছাত্র। ১০৩ জন বাংলা মাধ্যমে এবং ৩৪ জন প্রথমবার ইংরেজি মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল এই স্কুল থেকে। মেধা তালিকায় তিনটি আসন দখল করা ছাড়াও ৯০ শতাংশ ও তার বেশি নম্বর পেয়েছে মোট ৭৪ জন। তাদের মধ্যে ১৫ জন ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র। 

    ১৯৪৪ সালে স্বামী পরশিবানন্দজী মহারাজের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের সাফল্যের খতিয়ান অনেক পুরনো। ২০১৬ সাল থেকে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় একটানা স্থান দখল করে আসছে এই স্কুলের পড়ুয়ারা। এই স্কুলের অসংখ্য ছাত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এবছর এই স্কুলের কৃতী ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকরা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মহারাজের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করেন তাতে এই সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।

    স্বামী তাপহরানন্দজী বলেন, বিদ্যালয়ের সম্পাদক স্বামী ত্যাগরূপানন্দজী আমাদের অভিভাবক। তাঁর পরামর্শে আমরা বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করি। নিয়মিত পরীক্ষা, প্রথাগত ক্লাসের বাইরেও ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলার প্রশ্নে আমাদের আপোষহীন মনোভাবই এই সাফল্যের কারণ। আমরা খুশি আমাদের ছাত্ররা অত্যন্ত বাধ্য এবং অভিভাবক ও শিক্ষকরা আমাদের সহায়।
  • Link to this news (বর্তমান)