সংবাদদাতা, দিনহাটা: হরিণের কস্তুরী পাচারচক্রের হদিশ পেল সিতাই থানার পুলিস। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সিতাই ব্লকের নেতাজি বাজারে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৮ গ্রাম মৃগনাভি, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। ধৃতদের নাম সেরাজুল হক ও রেজাউল হোসেন, দু’জনেরই বাড়ি শীতলকুচিতে। তৃতীয় ব্যক্তি রাহুলার রহমান, সে সিতাইয়ে বাসিন্দা।
দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র সিতাই থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, এই কস্তুরী কোথা থেকে এসেছে এবং কোথায় তা সরবরাহ করা হচ্ছিল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের দিনহাটা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত প্রত্যেককে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরেই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে উদ্ধার হওয়া বস্তুটি সত্যিই হরিণের কস্তুরী কি না। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, এটি হিমালয়ের পাদদেশের অঞ্চল থেকে সংগৃহীত মাস্ক হরিণের কস্তুরী হতে পারে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই মূলত কেরিয়ার হিসেবে কাজ করত। এই পাচারের পিছনে সিতাইয়েরই এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, যিনি মূল চক্রের হোতা বলে অনুমান করছে পুলিস। সেই ব্যক্তিকে ধরতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। দিনহাটা মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী মৃগাঙ্ক সেনগুপ্ত জানান, আগামী ৫ মে ফের অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হবে। ততদিন তারা জেল হেফাজতেই থাকবে।