জেলায় সম্ভাব্য যুগ্ম প্রথম নকশালবাড়ি সারদা বিদ্যামন্দিরের অভিনব ও ইমন
বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
অপু রায়, নকশালবাড়ি: মাধ্যমিকে দার্জিলিং জেলায় সম্ভাব্য প্রথম এবার নকশালবাড়ি থেকে। নকশালবাড়ির সারদা বিদ্যমন্দির হাইস্কুলের অভিনব মণ্ডল এবং ইমন চক্রবর্তী এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০। একই স্কুল থেকে জেলার সম্ভাব্য সেরা হওয়ায় খুশি কর্তৃপক্ষ থেকে অভিভাবকরা।
অভিনব মণ্ডল নকশালবাড়ির অটলের বাসিন্দা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০। বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ভূগোলে ৯৯ এবং ইতিহাস ৯৬ নম্বর পেয়েছে সে। অভিনবের বাবা মণিগোপাল মণ্ডল নকশালবাড়ির অটল চা বাগানের অ্যাসিট্যান্ট ম্যানেজার। মা লক্ষ্মীদেবী গৃহবধূ। ছেলের এই সাফল্যে খুশির আমেজ বাড়িতে। অভিনব ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। এজন্য এখন থেকে জেইই পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে। অভিনব বলে, স্কুলে তিনবার টেস্ট পরীক্ষা হয়েছিল। কিভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে, তা ভালো করে বুঝতে পেরেছিলাম। টেস্টের পর প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা সেল্ফস্টাডি করতাম। এছাড়া স্কুল সহ তিনজন প্রাইভেট টিউটারের কাছে পড়তাম। এরমধ্যেও ভলিবল খেলার সময় বের করে নিতাম। বাবা মণিগোপাল বাবু বলেন, কখনও ছেলেকে পড়তে বসতে বলতে হয়নি। সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। আমি ওর পাশে আছি।
এদিকে নকশালবাড়ি সারদা বিদ্যামন্দিরের আরএক ছাত্র ইমন চক্রবর্তী ৬৮০ নম্বর পেয়েছে। সে অঙ্ক নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে চায়। রাজ্যস্তরের ক্যারাটে টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতায় একবার সিলভার, আরএকবার ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে সে। মাধ্যমিকে ইমন বাংলা ও ইংরেজিতে ৯৪, অঙ্কে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ভূগোল ৯৯ এবং ইতিহাসে ৯৮ নম্বর পেয়েছে। ইমনের বাবা স্বপ্নীল চক্রবর্তী দিনহাটার-১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। মা ইরানী গৃহবধূ। ইমন তার মা ও বোনের সঙ্গে শিবমন্দিরের ইন্দরাপল্লিতে থাকে। ইমন বলে, রুটিন মেনে পড়াশোনা করেনি। চার থেকে পাঁচঘণ্টা সেল্ফস্টাডি করতাম। এছাড়া তিনজন প্রাইভেট টিউটারের কাছে পড়তাম। অঙ্ক, স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চাই। তা সম্পন্ন করে, বাবার মত সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ইমনের মা ইরানী বলেন, ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। লেখাপড়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়া উচিত। তার বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও ছেলেকে গাইড করতেন। নকশালবাড়ি সারদা বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত দাস বলেন, এবার ৩১ জন পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। সকলে ভালো ফলাফল করেছে। তবে অভিনব ও ইমন জেলায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে।
এদিকে, ইমনের দু’মিনিটের ছোট যমজ বোন ইপশিতাও মাধ্যমিকে সফল হয়েছে। তার পারাপ্ত নম্বর ৬১৯। সে অধ্যাপক হতে চায়।