• উত্তরের মান রাখল ফালাকাটা ও তুফানগঞ্জ
    বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা:  শুক্রবার প্রকাশিত হয় এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। সেরা দশে উত্তরবঙ্গের ছয় শিক্ষা জেলার চারজন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। এরমধ্যে দু’জন আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা এবং দু’জন কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলা মান রাখলেও অপর চার শিক্ষা জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি পরীক্ষার্থীরা ছিটকে গিয়েছে মেধা তালিকা থেকে। গতবছর মেধা তালিকায় স্থান না পেলেও এবার আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার দুই ছাত্র স্থান পাওয়ায় কিছুটা হলেও সেই আক্ষেপ পুষিয়ে দিয়েছে জেলাবাসীকে। এদিকে, জেলা শহরের নামী স্কুলগুলি মেধা তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। জেলায় এ বছর পাশের হার ৭২.৭১ শতাংশ। ফালাকাটা হাইস্কুলের দুই ছাত্র আঞ্চ দে এবং দেবার্ঘ্য দাস যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। আঞ্চের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। অন্যদিকে, দেবার্ঘ্যের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। এই দুই কৃতী আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যৎ গড়তে চায়। 

    গতবার মাধ্যমিকে কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন মেধা তালিকায় একেবারে শীর্ষে ছিল। সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল মাথাভাঙা হাইস্কুলের আসিফ কামাল। প্রথম থেকে সপ্তম স্থানের মধ্যে কেউ না থাকলেও মান রেখেছে জেলার অসম সীমান্ত শহর তুফানগঞ্জ। এরা নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের দুই পড়ুয়া অনির্বাণ দেবনাথ ও দেবাঙ্কন দাস। মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে অনির্বাণ। ওর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। অন্যদিকে, দেবাঙ্কনের স্থান নবম, সে পেয়েছে ৬৮৭ নম্বর। আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় এই দুই কৃতী ছাত্র। নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ প্রামাণিক বলেন, অনির্বাণ ও দেবাঙ্কন স্কুলের নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ওরা আমাদের স্কুলের নামই শুধু নয়, মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়ে জেলার মুখ উজ্জ্বল করল। কোচবিহার জেলায় এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮১.৬৩ শতাংশ বলে জেলা শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। গত বছরের মতো এবারও দিনহাটাবাসীকে হতাশ করল মহকুমার পরীক্ষার্থীরা। ২০২২ সালে সেরা দশের মেধা তালিকায় দিনহাটার ১৩ জন ছাত্রছাত্রী স্থান পেয়েছিল। তারমধ্যে দিনহাটা গোপালনগর এমএসএস হাইস্কুল থেকে ছ’জন পরীক্ষার্থী ছিল। তার আগের বছর গোপালনগর স্কুলের চারজন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। ২০২০ সালে সপ্তম, ২০১৬ সালে দশম, ২০০৬ সালে নবম হয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছিল দেবাঞ্জনা বসাক। কিন্তু এবার ফল হতাশাজনক। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ব্রাত্য থাকাই নয়, সার্বিক পাশের হারেও রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় এবারও পিছনের সারিতে থেকে গেল জেলা জলপাইগুড়ি। গত বছর পাশের হার ছিল ৭২ শতাংশ। এবার আরও কমে হল ৬৯.৪৭ শতাংশ। জলপাইগুড়ির মতো শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার অবস্থাও শোচনীয়। এবারও এই শিক্ষা জেলার কোনও পরীক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারল না। অন্যদিকে, দার্জিলিং জেলায় পাশের হার ৭৮.০৫ শতাংশ। প্রতিবেশী জেলা কালিম্পং পাশের হারের দিক থেকে রাজ্যে দ্বিতীয়, ৯৬.০৯ শতাংশ। প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর ৯৬.৪৬ শতাংশ।
  • Link to this news (বর্তমান)