• মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় নেই জলপাইগুড়ি
    বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মাধ্যমিকের ফলাফলে এবারও মুখ পুড়ল জলপাইগুড়ির। মেধা তালিকায় ঠাঁই পেল না উত্তরের এই জেলা। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ জেলার শিক্ষামহল। সেরা দশে জায়গা না পাওয়ার আক্ষেপের সঙ্গেই এবার মাধ্যমিকে সাফল্যের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে জলপাইগুড়ি। জেলার মাত্র ৬৯.৪৭ শতাংশ পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছে। যা অন্য জেলার নিরিখে যথেষ্টই কম। গতবারও মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান পায়নি জলপাইগুড়ি। কেন জলপাইগুড়িতে শিক্ষার মানোন্নয়নের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে।  জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে বলেন, আমাদের জেলার রেজাল্ট ভালো হয়েছে। তবে মাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় জেলার কোনও পড়ুয়া জায়গা না পাওয়ায় খারাপ লাগছে। এটা কেন হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে ভালো রেজাল্টের পিছনে স্কুলগুলির বড় ভূমিকা থাকে। সেক্ষেত্রে পড়ুয়ারা যাতে ভালো ফল করে, সেজন্য জেলার স্কুলগুলিকে আরও বেশি করে চেষ্টা চালাতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা স্কুলগুলির সঙ্গে কথা বলব। যদিও স্কুলে বেশিরভাগ পড়ুয়ার অনিয়মিত উপস্থিতি ও মোবাইল আসক্তি আশানুরূপ ফল না হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। এ বছর জলপাইগুড়িতে নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ১০ হাজার ৪৮ জন ছাত্র এবং ১৩ হাজার ৪০ জন ছাত্রী মাধ্যমিক দেয়। এর মধ্যে ছাত্রদের পাশের হার ৭৬.৭৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৭৩.৬৭ শতাংশ। একইসঙ্গে ছেলেদের মধ্যে অনুত্তীর্ণ হয়েছে ২২.৯১ শতাংশ, মেয়েদের মধ্যে ওই হার ২৬.০৪ শতাংশ। জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কৌশিক ঘোষ জেলায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। জেলায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে ময়নাগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ঐশিকী দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। যুগ্মভাবে জেলায় তৃতীয় হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের শ্রীদীপ্ত রায়চৌধুরী ও ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রঙ্গন সেন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২।
  • Link to this news (বর্তমান)