• মাধ্যমিক: মেধা তালিকায় প্রথম থেকে এক ধাক্কায় নেমে এবারে অষ্টম-নবম
    বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: গতবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। সেসঙ্গে মাথাভাঙা হাইস্কুলের আসিফ কামাল ওই বছর রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল। গতবার জেলা সদর থেকে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করলেও সেই ধারাবাহিকতা এবার আর বজায় থাকল না। সপ্তম স্থানেও এবার কেউ নেই। এবার রাজ্যের মেধা তালিকায় জেলা একধাক্কায় প্রথম থেকে নেমে দাঁড়াল অষ্টম ও নবম স্থানে। কোচবিহার শহরের নামজাদা কোনও স্কুল থেকেও কোনও ছাত্রছাত্রী এবারের মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। 

    তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের দুই ছাত্র মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় অষ্টম ও নবম স্থান পেয়েছে। জেলার নামকরা স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুল, সুনীতি অ্যাকাডেমি, রামভোলা হাইস্কুল সহ অন্যান্য স্কুল থেকে কোনও ছাত্রছাত্রই মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারেনি। পাশাপাশি রাজ্যের গড় পাশের হার যেখানে ৮৬.৫৬ শতাংশ সেখানে কোচবিহার জেলার পাশের হার ৮১. ৬৩ শতাংশ। কেন এমনটা হল? তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা অবশ্য জেলার শিক্ষামহল সেভাবে দিতে পারেনি। 

    পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহার জেলার আহ্বায়ক সঞ্জয়কুমার সরকার বলেন, গতবছর মাধ্যমিকে কোচবিহার থেকে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল মাথাভাঙার ছাত্র। এবার জেলায় পাশের হার ৮১.৬৩ শতাংশ। শহরের স্কুলগুলিতে এবার ভালো ফল হয়নি একথা ঠিক, তবে এর বিশ্লেষণ করা কঠিন। যারা পড়াশোনা করেছে তাদের ফল ভালো হয়েছে, এটাই তুলনামূলকভাবে বলা যায়। শহরের তুলনায় গ্রামের ছাত্রছাত্রীরাই ভালো করেছে। 

    রামভোলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার দাস বলেন, এবার আমাদের স্কুলের মাধ্যমিক ব্যাচটি তুলনামূলকভাবে দুর্বলই ছিল। পড়াশোনায় হয়তো কিছু ঘাটতি ছিল। তাই হয়তো মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। আগামী দিনে আবার দেখতে হবে। যারা অবস্থাপন্ন পরিবারের তাদের বেশিরভাগই বেসরকারি স্কুলে যায়। পিছিয়ে পড়ারা বাংলা মিডিয়ামে পড়ে। তবে বাংলা মিডিয়াম কোনও অর্থেই খারাপ নয়। অনেক ক্ষেত্রে ছাত্ররা নবম-দশম শ্রেণিতে স্কুলমুখী কম হয়। এই বিষয়ে সকলকে যত্নবান হতে হবে। 

    কোচবিহার জেলায় এবারে ৩৩ হাজার ১৯০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এনরোলমেন্ট করেছিল। তারমধ্যে ৩২ হাজার ৭৯৪ জন পরীক্ষায় বসেছিল। পাশ করেছে ২৭ হাজার ৫১৮ জন ছাত্রছাত্রী। অকৃতকার্য হয়েছে ৫ হাজার ২৭৬ জন।  
  • Link to this news (বর্তমান)