মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক তাপহরানন্দজী মহারাজ বলেন, অনুভব শুধু একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবেই নয়, একজন সচেতন এবং সংবেদনশীল মানুষও। অনুভব বরাবরই প্রথম সারির ছাত্র। কিন্তু সাফল্য বা মেধা কখনওই ওর মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি।
বাবা অরূপ কুমার বিশ্বাস বেসরকারি ওষুধ বিপণন সংস্থার আঞ্চলিক ম্যানেজার। মা রিমা বিশ্বাস গৃহবধূ। মা এবং বাবার সঙ্গে এই মুহুর্তে দিল্লিতে রয়েছে অনুভব। বেসরকারি সংস্থায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। ক্লাসে বরাবরই প্রথম হত সে। গোয়েন্দা গল্প পড়তে ও ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে অনুভব। তার প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমস। প্রিয় ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ।
এদিন মাধ্যমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ হতেই টেলিফোনে অনুভব বলে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় সারা রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছি। এটা ভাগ্যের জোর তো বটেই। আমার ব্যাচের যারা প্রথম সারির সহপাঠী তারা যে কেউ এই নম্বরটা পেতে পারত। তাদেরও সমা মেধা ও সমান দক্ষতা রয়েছে।
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যা মন্দিরের প্রধান শিক্ষক মহারাজ থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, ওর নাম সার্থক। কারণ ও সবার জন্য অনুভব করে।
নিজের বয়সী আর পাঁচটা ছেলে মেয়ের মতই মোবাইল ব্যবহার করত অনুভব। তবে সারা দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি নয়। তার মোবাইল ব্যবহার করার পেছনেও ছিল শুধুই লেখা এবং পড়ার কাজ। অনুভবের বক্তব্য এই সাফল্যের পেছনে তাঁর স্কুল মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ভূমিকা অপরিসীম। স্কুলই তৈরি করে দিয়েছিল। মা বাবা এবং প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দজীর সাহায্য ছাড়া এই ফল সম্ভব ছিল না। আরও দুই বন্ধু মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত অনুভব। তবে তার আক্ষেপ, স্কুলের আরও কয়েকজন সহপাঠী মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য। অনুভব বিশ্বাসকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন তাঁর মা।-নিজস্ব চিত্র