• বাঁকুড়ার ১১ পড়ুয়ার ঠাঁই মেধা তালিকায়
    বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
  • রঞ্জুগোপাল মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: মাধ্যমিকে ফের চমক বাঁকুড়া জেলার পড়ুয়াদের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সহ প্রথম দশের মেধাতালিকায় জেলার ১১ জন ছাত্রছাত্রী স্থান পেয়েছে।

    বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সৌম্য পাল ৬৯৪ পেয়ে মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। কোতুলপুর সরোজবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ঈশানী চক্রবর্তী হয়েছে তৃতীয়। ঈশানী ৬৯৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে। এবছর বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন হাইস্কুলের পাঁচ ছাত্র মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র জ্যোতিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ৬৯০ পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছে। ফুটবল পাগল জ্যোতিপ্রসাদ অবসর সময়ে গল্পের বই পড়ে। সে বলে, ভবিষ্যতে আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাই। 

    ষষ্ঠ স্থানাধিকারী ওন্দার গোড়াশোল মুরলিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রুদ্রনীল মাসান্তও ‌঩ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। ওন্দা ব্লকের মৌদি গ্রামের রুদ্রনীল অবসর সময়ে তবলা বাজায়। প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তারপর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসক হওয়াই তার লক্ষ্য। 

    বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের ছাত্র অরিত্র দে ও বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের দেবাদ্রিতা চক্রবর্তী সপ্তম হয়েছে। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। বাঁকুড়া শহরের সার্কাস ময়দান এলাকার দেবাদ্রিতা চিকিৎসক হতে চায়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প পড়তে তার ভালো লাগে। দেবাদ্রিতা বলে, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উদ্দেশ্যেই আমি মেডিক্যাল পড়তে চাই। শহরের নতুনচটির বাসিন্দা অরিত্র ভবিষ্যতে সফট্‌ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। অরিত্র ভালো পিয়ানো বাজায়। সে বলে, শিক্ষকদের দেওয়া ‘হোম টাস্ক’ নিয়মিত সেরে নিতাম। তাতেই সাফল্য এসেছে। 

    অরিত্রর সহপাঠী শুভ্র সিনহা মহাপাত্র পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণার পর অধ্যাপক হতে চায়। সে ৬৮৮ পেয়ে এবার মাধ্যমিকে অষ্টম হয়েছে। আদি বাড়ি খাতড়ায় হলেও তারা বর্তমানে বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহিতে থাকে। রবীন্দ্রসঙ্গীত তার ভীষণ পছন্দ। সে ধ্রুপদী সঙ্গীতও শিখেছে।

    খাতড়ার কংসাবতী শিশু বিদ্যালয়ের সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায়ও অষ্টম স্থান দখল করেছে। সৌপ্তিক ভালো ধ্রুপদী সঙ্গীত গায়। সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। ক্রিকেট খেলতে খুব ভালোবাসে।

    মিশন গার্লসের ছাত্রী অরিত্রী মণ্ডল ৬৮৭ নম্বর পেয়ে নবম হয়েছে।  অরিত্রিদের আদি বাড়ি পুরুলিয়ার শিরকাবাদে। তারা বাঁকুড়া শহরের আইলাকান্দি শ্রীনগরে থাকে। শরৎচন্দ্র প্রিয় অরিত্রী বলে, আমি ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাই।

    বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের দু‌ই ছাত্র ঩প্রিয়ম পাল ও তুহিন হালদার ৬৮৬ নম্বর পেয়ে দশম স্থান দখল করেছে। প্রিয়মের বাড়ি সিমলাপালের পুখুরিয়া গ্রামে। ক্রিকেট খেলা তার প্রিয়। তবে নিয়মিত দেশ-বিদেশের ঘটনার উপর নজর রাখতে ভালোবাসে। প্রিয়ম বলে, আমি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার পর শিল্পোদ্যোগী হতে চাই। রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রিয় তুহিনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। তুহিন বলে, আমি স্কুলের হস্টেলে থাকতাম। আমার কোনও প্রাইভেট টিউটর ছিল না। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে পড়েই সাফল্য এসেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)