নদীয়া জেলাজুড়ে শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: নদীয়া জেলায় শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর-১ ও হাঁসখালি ব্লকে সবচেয়ে বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দু’টি ব্লকের অন্তর্গত পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন মৌজায় শিলাবৃষ্টির কারণে প্রাথমিকভাবে ১৬৮৬হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীয়া জেলার কৃষি উপ-অধিকর্তা জয়দীপ মজুমদার বলেন, আমরা গ্রাউন্ড জিরোয় নেমে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করেছি। বাংলা শস্যবিমার সংশ্লিষ্ট এজেন্সিও আমাদের সঙ্গে ছিল। শিলাবৃষ্টির জেরে মূলত দু’টি ব্লকে চাষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে শস্যবিমায় নাম থাকা চাষিদের ফসলের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায়।
জানা গিয়েছে, মূলত ক্ষতির মুখে পড়েছে ধান, পাট ও তিল চাষ। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানচাষ। প্রায় ৬৩৫হেক্টর জমিতে ধানের মাথার অংশ শিলাবৃষ্টির আঘাতে নষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শস্যের উপরের অংশ ভেঙে পড়ায় চাষিরা বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। শুক্রবার সারাদিন কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা মাঠে নেমে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব খতিয়ে দেখেন। তাঁরা প্রতিটি মৌজার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছেন। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বাংলা শস্যবিমা যোজনার আওতায় আর্থিক সাহায্য দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, শিলাবৃষ্টির মতো আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ চাষিদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রমকে এক নিমেষে মাটি করে দেয়। আমরা দ্রুত ক্ষতির পরিমাণের রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। যাতে চাষিরা যথাসম্ভব দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান। জেলার অন্যান্য ব্লকেও শিলাবৃষ্টির দেখা মিললেও, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষ্ণনগর-১ ও হাঁসখালিতেই। আগামী কয়েকদিনে আবহাওয়ার উন্নতি হলে, ক্ষয়ক্ষতির নির্ধারণ কিছুটা সহজ হবে বলে মনে করছে কৃষিদপ্তর।