• পাশের হারে চতুর্থ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তিন পড়ুয়া মেধা তালিকায়
    বর্তমান | ০৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর, সংবাদদাতা ঘাটাল ও বেলদা: মাধ্যমিকে পাশের হারে চতুর্থ স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর। জেলার তিন পড়ুয়া প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে। অষ্টম স্থান অধিকার করেছে দুজন এবং নবম স্থান পেয়েছে একজন। জেলায় পাশের হার ৯০.৫২ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ৫১ হাজার ২৮০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে ছাত্রদের পাশের হার ৯৩.৩৪ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাশে হার ৮৯.৮২ শতাংশ। পর্ষদের মনিটরিং কমিটির জেলা আহ্বায়ক সুভাষ হাজরা বলেন, জেলার সার্বিক রেজাল্ট ভালো হয়েছে। 

    বেলদা থানা এলাকার নবোদয়পল্লিতে পাশাপাশি বাড়িতে থাকে উদিতা রায় ও অঙ্কুশ জানা। উদিতা অষ্টম ও অঙ্কুশ নবম হয়েছে মাধ্যমিকে। ছোট থেকেই দুজনের মধ্যে পড়াশোনা নিয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলত। ৬৮৮ নম্বর পেয়েছে বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী উদিতা। ছোট থেকেই সে মেধাবী। উদিতার বাবা বিশ্বজিৎ রায় নারায়ণগড় ব্লকের খালিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা অনুরূপা রায় স্বাস্থ্যকর্মী। উদিতা বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯২, ইতিহাসে ৯৯ ও অঙ্ক, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান এবং ভূগোলে একশোয় ১০০ পেয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি গল্প, কবিতা ও উপন্যাস পড়তে ভালোবাসে উদিতা। তাঁর প্রিয় সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। ভবিষ্যতে আইআইটিতে পড়াশোনা করে গবেষণার কাজে আত্মনিয়োগ করতে চায় উদিতা। উদিতা বলে, নিয়মিত পড়াশোনা করেই সাফল্য এসেছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও গৃহ শিক্ষকদের সহযোগিতা পেয়েছি। উদিতার বাবা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমরা খুশি। খুব পরিশ্রম করেছে। তার ফল পেল।

    অঙ্কুশদের আদিবাড়ি বাইপাটনায় হলেও বর্তমানে তারা নবোদয়পল্লিতে ভাড়া থাকে। সে পেয়েছে ৬৮৭ নম্বর। তার বাবা তাপস জানা ধানের ব্যবসায় যুক্ত। মা রঞ্জিতা জানা গৃহিণী। বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির ছাত্র অঙ্কুশ ছোট থেকেই মেধাবী। পড়াশোনার ফাঁকে ছবি আঁকতে ও বিভিন্ন ইনডোর গেম খেলতে ভালোবাসে। অঙ্কুশ বাংলায় ৯৬, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৯ ও ভূগোলে ৯৭ নম্বর পেয়েছে। উদিতা অষ্টম স্থান পাওয়ায় সে খুব খুশি বলে জানিয়ে অঙ্কুশ বলে, বাবা-মা ছাড়াও দাদা অতীশ জানা খুবই সহযোগিতা করেছে। এছাড়া সমস্ত শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সহযোগিতা পেয়েছি।

    অন্যদিকে, ঘাটাল মহকুমার মনশুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের ছাত্র অরিত্র সাঁতরাও অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। সে পেয়েছে ৬৮৮ নম্বর। অরিত্র ছোট থেকেই মেধাবী। তার বাবা বিশ্বজিৎ সাঁতরা একটি ওষুধের দোকান চালান। মা নিরুপমা সাঁতরা গৃহবধূ। অরিত্র বাংলা, অঙ্ক ও জীবন বিজ্ঞানে একশোয় ১০০ পেয়েছে। এছাড়া ইংরেজিতে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৮ ও ভূগোলে ৯৫ পেয়েছে। অরিত্র জানিয়েছে, ভবিষ্যতে গবেষণার জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। পরিবার তো বটেই, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সহযোগিতা করেছেন। মনশুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্তকুমার পাল বলেন, অরিত্র বরাবরই পড়াশোনায় মনোযোগী। তার এই সাফল্যে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
  • Link to this news (বর্তমান)