নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: নদীয়া জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৮.৭৪ শতাংশ। তবে এবার পাশের হারে ছাত্রীদের পিছনে ফেলে দিয়েছে ছাত্ররা। ছাত্রদের পাশের হার ৯১.৮৬ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৮৬.০৪ শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ বছর ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা তিন হাজার বেশি ছিল। আর জেলার মধ্যে একজনই রাজ্যের মেধা তালিকায় নাম তুলতে পেরেছে। শান্তিপুর ব্লকের সেই ছাত্রকে এদিন জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তবে কৃষ্ণনগর শহর থেকে কোনও স্কুলের নাম নেই মেধা তালিকায়। যা নিয়ে হতাশ শিক্ষক মহল। কারণ অতীতে প্রতি বছরই মেধা তালিকায় কৃষ্ণনগর শহরের কোনও না কোনও পড়ুয়ার নাম থাকে। তবে জেলার বেশি কিছু স্কুল ভালো রেজাল্ট করেছে। যেমন কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পরীক্ষায় বসা ১১৯ জন ছাত্রছাত্রীর সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। সেইসঙ্গে ৬৫০-এর বেশি নম্বর পেয়েছে সেই স্কুলের সাতজন পড়ুয়া। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর হাই স্কুলে ২২৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে ২২৭ জন পাশ করেছে। কৃষ্ণনগর লেডি কারমাইকেল স্কুলের ২৫৩ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই পাশ করেছে। নদীয়া জেলার ডিআই শুভ্রকান্তি নন্দ বলেন, জেলার সামগ্রিক রেজাল্ট ভালো হয়েছে। আমাদের জেলার একজনের নাম মেধা তালিকায় রয়েছে। তাকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এবছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নদীয়া জেলা থেকে ২৩ হাজার ১৬৬ জন ছাত্র ও ২৬ হাজার ৪৬৩ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ৬২৯ জন। এদিন মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকদের তরফ থেকে ছাত্রছাত্রীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মধ্যে প্রথম ও রাজ্যর মধ্যে নবম হয়েছে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রজ্জ্বল দাস। সে পেয়েছে ৬৮৭ নম্বর। দ্বিতীয় হয়েছে তেহট্ট হাই স্কুলের কুশাঙ্কুর বিশ্বাস, তৃতীয় হয়েছে কৃষ্ণনগর কলিজিয়েট স্কুলের সৌরভ ঘোষ। তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৬৭৪ এবং ৬৮৩। মহিশবাথান মনোজ মোহন বিদ্যামন্দিরের অর্ণব মণ্ডল চতুর্থ এবং তেহট্ট হাই স্কুলের সৌভিক সরকার পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও করিমপুর গার্লস হাইস্কুল, চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমি, করিমপুর জগন্নাথ হাইস্কুল, কৃষ্ণনগর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা রয়েছে জেলার মেধা তালিকায়। অন্যদিকে, নবদ্বীপ তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের ১৯০ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই পাশ করেছে এবং নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয়ের ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭৬ জন পাশ করেছে। তবে নদীয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগর থেকে কোনও পরীক্ষার্থী মেধা তালিকায় না থাকায়, শিক্ষক মহলে হতাশার ছায়া। শহরের এক শিক্ষক বলেন, কৃষ্ণনগর শহর থেকে প্রতিবারই কেউ না কেউ মেধা তালিকায় থাকে। এ বছর, নেই শুনলাম। থাকলে ভালো লাগত।