সংবাদদাতা, বনগাঁ: দেওয়ালে পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান লেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই অভিযোগে বুধবার রাতে চন্দন মালাকার (৩০) ও প্রজ্ঞাজিত মণ্ডলকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছিল বনগাঁর গোপালনগর থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার গোপালনগর থানার পুলিস ধৃতদের পুলিসি হেফাজত চেয়ে বনগাঁ আদালতে আর্জি জানালে বিচারক তা খারিজ করে জামিন মঞ্জুর করেছেন অভিযুক্তদের। অভিযোগ, এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর পাশাপাশি ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ ও ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে পাকিস্তানের পতাকা উদ্ধার করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।
বুধবার আকাইপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি শৌচাগারের পাশে পাকিস্তানের পতাকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিস জানতে পারে, এলাকার দুই বাসিন্দা সেই পতাকা দেওয়ালে সাঁটিয়ে তার নীচে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান লেখার পরিকল্পনা করেছে। বনগাঁর পুলিস সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান লিখলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারত। পুলিস সজাগ থাকায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জন বিজেপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘পুলিস মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতেই ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’ তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে এলাকায় দাঙ্গা বাধাতে চেয়েছিল।’