• বিচারপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৩ মে ২০২৫
  • বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঘটনায় এ বার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই ঘটনায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। এজন্য আদালত ঘটনার দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হাইকোর্টের ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট এবং কিরণশঙ্কর রায় রোড চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

    হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এই বেঞ্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাটি ফৌজদারি অপরাধ বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে আদালত আরও বলেছে, নজর রাখতে হবে এই ধরনের ঘটনার আর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

    প্রসঙ্গত সম্প্রতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে উচ্চ প্রাথমিকের মামলাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী সহ অন্যান্যরা। এমনকি বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল বিচারপতি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ তাঁর সহকারী আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও। সেই ঘটনাকে ভালো চোখে দেখেনি আদালত। অবমাননার দায়ে কলকাতা হাইকোর্ট একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পদক্ষেপ শুরু করে।

    শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল রাজ্যের উচ্চ আদালতে। সেখানে আইনজীবী পার্থ সারথি সেনগুপ্ত তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি করেন এবং বাকি অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে আদালতের কাছে পুলিশের সাহায্যের আবেদন জানান। ইতিমধ্যে আদালত কুণাল ঘোষ, চাকরিপ্রার্থী রাজু দাস সহ ১৫ জনকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ওই ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট মামলায় নোটিস পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবেন বলে জানানো হয়েছে।

    এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ওই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আদালত অবমাননার কারণে এটি ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। বিচার ব্যবস্থাকে হেনস্থা করতেই এমন কাজ করা হয়েছে। সেজন্য অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা উচিত বলে বিশেষ বেঞ্চ মন্তব্য করে। আদালত আরও জানিয়েছে, বিষয়টির অনুসন্ধান রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ বিবেচনা করবে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)